মধ্যপ্রাচ্যে অস্থিরতা

ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে ভারতের বাসমতী চাল রফতানি

বণিক বার্তা ডেস্ক

ভারতের বাসমতী চালের অন্যতম শীর্ষ গন্তব্য ইরান। সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে দেশটির ভূ-রাজনৈতিক সংকট আরো জোরদার হয়েছে। এতে ইরানের বাজারে পণ্যটির রফতানি ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে। অবস্থায় পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত দেশটিতে খাদ্যপণ্যটির রফতানি বন্ধ রাখার অনুরোধ জানিয়েছে অল ইন্ডিয়া রাইস এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (এআইআরইএ) খবর ফার্স্টপোস্ট ইকোনমিক টাইমস।

গত অর্থবছরে (এপ্রিল-মার্চ) আন্তর্জাতিক বাজারে বাসমতী চাল রফতানি করে ভারত মোট ৩২ হাজার ৮০০ কোটি রুপি আয় করেছিল। এর মধ্যে ১০ হাজার ৮০০ কোটি রুপি এসেছিল ইরান থেকে।

এআইআরইএ সভাপতি নথি রাম গুপ্তা জানান, পরিস্থিতি যা দাঁড়িয়েছে তাতে মুহূর্তে ইরানে বাসমতী চাল রফতানি সম্ভব না। অবস্থা সুস্পষ্ট না হওয়া পর্যন্ত দেশটিতে বাসমতী চাল রফতানি বন্ধ রাখতে সব সদস্যের প্রতি অনুরোধ জানান তিনি।

গত জানুয়ারি ভোরে ইরাকের রাজধানী বাগদাদে পেন্টাগনের মোস্ট ওয়ান্টেড তালিকায় থাকা কাসেম সুলেইমানির গাড়িবহরে হামলা চালায় মার্কিন বাহিনী। প্রতিশোধ হিসেবে জানুয়ারি ইরাকের মাটিতে মার্কিন ঘাঁটি লক্ষ্য করে ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ে ইরান। এতে দুই দেশের মধ্যে সম্ভাব্য যুদ্ধাবস্থা তৈরি হয়। এর কয়েক দিনের মাথায় ইরানের ওপর ফের নতুন নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র।

আগের নিষেধাজ্ঞার জেরে বিদায়ী বছরে ভারত থেকে ইরানে বাসমতী চাল রফতানি বেশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ২০১৯ সালের জুন পর্যন্ত পণ্যটির রফতানি বাবদ প্রাপ্ত অর্থের প্রায় ৯০০ কোটি রুপি এখনো মুলতবি রয়েছে। এদিকে ইরানে রফতানি বন্ধ হয়ে গেলে বাড়তি বাসমতী চাল নিয়ে বেশ বিপাকে পড়তে পারে ভারত। উদ্বৃত্ত চালের জেরে মজুদ বাড়বে। এতে অভ্যন্তরীণ বাজারে সরবরাহ বেড়ে পণ্যটির দাম কমে কৃষকরা ক্ষতিগ্রস্ত হবে।

চলতি অর্থবছরের প্রথম আট মাসে (এপ্রিল-নভেম্বর) ভারত মোট ২৩ লাখ ৯৪ হাজার টন বাসমতী চাল রফতানি করেছে, যার বাজার মূল্য ১৭ হাজার ৭০০ কোটি রুপি। এর মধ্যে হাজার ৫০০ কোটি রুপি সমমূল্যের বাসমতী চাল রফতানি হয়েছে ইরানে।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন