গণবিশ্ববিদ্যালয়ে ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী অবরুদ্ধ

বণিক বার্তা অনলাইন

বৈধ ভিসি, বিভিন্ন বিভাগের সমস্যা নিরসনসহ বেশ কিছু দাবিতে গণ-বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা ও অন্যতম ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীকে অবরুদ্ধ করে রেখেছেন শিক্ষার্থীরা। আজ মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) দুপুরে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সাধারণ সভায় যোগ দিতে আসলে তাকে অবরুদ্ধ করে রাখা হয়।

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, আজ বেসরকারি এই বিশ্ববিদ্যালয়টির কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের বার্ষিক সাধারণ বাজেট সংক্রান্ত সভায় যোগ দিতে এসেছিলেন ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। এসময় তার সঙ্গে বেশ কয়েকজন শিক্ষক ও কর্মকর্তারাও ছিলেন। সভার শুরুতে শিক্ষার্থীরা তাদের নানাবিধ সঙ্কট তুলে ধরে ছাত্র সংসদের বাজেটের যৌক্তিকতার নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। গণ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (গাকসু) ভিপি মো. জুয়েল রানা বলেন, ‘যেখানে বৈধ উপাচার্য নেই, যেখানে বিবিএ ও ফিজিওথেরাপি বিভাগের শিক্ষার্থীরা তাদের বৈধতা নিয়ে হুমকির মুখে, সেখানে আমি ছাত্র সংসদের বাজেট নিয়ে কি কথা বলবো? যেখানে আমার অস্তিত্ব হুমকির মুখে, সেখানে এই রঙ্গ তামাশা মানায় না। তাই আমরা আজকের সাধারণ সভা বর্জন করলাম।’

 ছাত্র সংসদের সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম রলিফ বলেন, ‘আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের বড় সমস্যায় ওনারা আমাদের সঙ্গে বসতে পারেন না। কিন্তু আজ বাজেট নিয়ে বসতে আসতে পেরেছেন। আমরা সাধারণ ছাত্রদের স্বার্থ বাকি রেখে, তাদের সঙ্গে মিটিংয়ে বসতে পারি না। তাই এই সভা বর্জন করলাম।’

এক পর্যায়ে হট্টোগোল শুরু হলেও জাফরুল্লাহ চৌধুরী তার আসনে নিশ্চুপ বসে শিক্ষার্থীদের কথা শুনতে থাকেন। এক পর্যায়ে শিক্ষার্থীদের এসব দাবি সরকারের কাছে জানাতে বলেন তিনি। এতে শিক্ষার্থীরা আরো ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে। যেসব বিভাগের অনুমোদন নেই, অথচ ‘দেড় লাখ টাকা’ শিক্ষকের বেতন দেয়া হচ্ছে বলেও অভিযোগ তোলেন শিক্ষার্থীরা। তারা গণবিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক শিক্ষকের ‘প্রাথমিক বিদ্যালয়ে’ শিক্ষকতা করার যোগ্যতা নেই বলেও মন্তব্য করেন একজন। অন্য শিক্ষার্থীরা এসময় করতালি দিয়ে তার বক্তব্যের সমর্থন দেন।

বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা জাফরুল্লাহ চৌধুরী এবং অন্যান্য কর্মকর্তাদের ভেতরে রেখে বাইরে থেকে তালা লাগিয়ে দেন।  শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন স্লোগান দিতেও শোনা যায়। 

সাধারণ ছাত্র পরিষদের গণবিশ্ববিদ্যালয়ের আহ্বায়ক রনি আহমেদ বলেন, এর আগেও আমরা বৈধ ভিসির দাবিতে ৬৮ দিন আন্দোলন করেছিলাম। আশ্বাসে আশ্বাসে সময় ক্ষেপণ করতে থাকে কর্তৃপক্ষ। আজ তার কাছে দাবিগুলোর অগ্রগতি সম্পর্কে জানতে চাইলে ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী শিক্ষার্থীদের সঙ্গে অসদাচরণ করেন। এর পরেই তাকে অবরুদ্ধ করে রাখা হয়।

দাবি না মানা পর্যন্ত তালাবদ্ধ করে রাখবেন বলে জানিয়েছেন ছাত্র সংসদের সহ-সভাপতি জুয়েল রানা।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন