বেশি দিন বাঁচে কন্যা সন্তানের পিতা

বণিক বার্তা অনলাইন

ভারতীয় উপমহাদেশের অনেক গান, গল্প, উপন্যাসে কন্যাদায়গ্রস্ত পিতার গল্প উঠে এসেছে। এখানে বেশিরভাগ পরিবারেই কন্যা সন্তানকে স্বাগত জানানো হয় না। এমনকি ভারতে এখনো কন্যা সন্তানকে জীবন্ত সমাধিস্থ করার খবর গণমাধ্যমে আসে। যদিও শিক্ষার প্রসার, ব্যাপক প্রচার ও সরকারি সহায়তার কারণে দৃষ্টিভঙ্গির বদল ঘটছে। তারপরও কন্যা সন্তানকে সমস্যা মনে করার মনোভাব পুরোপুরি দূর হয়নি। 

তবে ইউরোপে ঘটছে উল্টো ঘটনা। একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে, কন্যা সন্তানের বাবার আয়ু তুলনামূলক বেশি হয়। তারা অন্য পুরুষদের চেয়ে বেশিদিন বাঁচেন। অবশ্য লিঙ্গ নির্বিশেষে সন্তান জন্মদান নারীর আয়ু কমিয়ে দেয় এ ব্যাপারে প্রায় সব গবেষক একমত।

পোল্যান্ডের জাগিলোনিয়ান ইউনির্ভাসিটির সম্প্রতিক এক গবেষণায় দেখা গেছে, পুত্র সন্তান তাদের পিতার আয়ুর ওপর কোনো প্রভাব ফেলে না। তবে কন্যা সন্তানের সংখ্যার সঙ্গে পিতার দীর্ঘায়ুর সমানুপাতিক সম্পর্ক রয়েছে।

গবেষণা প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, যে বাবার যতো বেশি কন্যা সন্তান রয়েছে, তিনি ততো বেশিদিন বাঁচেন। সুনির্দিষ্টভাবে বলতে গেলে, প্রতিটি কন্যা সন্তানের জন্য বাবা ৭৪ সপ্তাহেরও বেশি অতিরিক্ত আয়ু পান। 

২ হাজার ১৪৭ জন মা এবং ২ হাজার ১৬৩ জন বাবার ওপর এ গবেষণা পরিচালনা করা হয়। একটি সন্তান জন্মের পর বাবার মানসিক ও শরীরিক অবস্থা কেমন থাকে সেটি পর্যবেক্ষণ করাই ছিল এ গবেষণার মূল লক্ষ্য। 

এদিকে আমেরিকান জার্নাল অব হিউম্যান বায়োলজিতে প্রকাশিত আরেকটি গবেষণায় দেখা গেছে, পুত্র বা কন্যা সন্তানের জন্ম মায়ের স্বাস্থ্যের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে এবং তার জীবনকাল হ্রাস করে। অন্য আরেকটি সমীক্ষায় উঠে এসেছে, যে নারীরা বিয়ে-বাচ্চা বাদ দিয়ে বেশি দিন একাকি থাকেন তারা বেশি সুখী হোন। 

একটি ভিন্ন সমীক্ষা বলছে, লিঙ্গ নির্বিশেষে সন্তান জন্মদানের ফলে বাবা-মা উভয়ের জীবৎকাল বৃদ্ধি পায়। এই গবেষণার জন্য  ১৪ বছরেরও বেশি সময় ধরে তথ্য সংগৃহ করা হয়। এতে দেখা যায়, নিঃসন্তান দম্পতিরা  তুলনামূলক কম দিন বেঁচে থাকে।

তবে ২০০৬ সালে জাগিলোনিয়ান ইউনির্ভাসিটির আরেকটি গবেষণায় দেখা গেছে, লিঙ্গ নির্বিশেষে সন্তান জন্মদানের ফলে মায়ের জীবৎকাল কমে যায়। তবে কন্যা সন্তানের জন্য বাবার আয়ু বাড়ে।  

সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন