অবৈধ সম্পদ অর্জনের
অভিযোগ অনুসন্ধানের অংশ হিসেবে গণপূর্ত অধিদপ্তরের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মোসলেহ
উদ্দিনসহ তিনজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। সোমবার দুদকের পরিচালক সৈয়দ ইকবাল হোসেন স্বাক্ষরিত চিঠিতে তাদের তলব করা
হয়। তলব করা অন্য দুজন হলেন ন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট ইঞ্জিনিয়ার্সের (এনডিই)
ব্যবস্থাপনা পরিচালক রেজাউন মোস্তাফিজ এবং এম জামাল অ্যান্ড কোম্পানির স্বত্বাধিকারী
জামাল উদ্দিন। তাদের ১৬ জানুয়ারি সেগুনবাগিচায় দুদকের প্রধান কার্যালয়ে হাজির হতে বলা
হয়েছে। ঠিকাদার গোলাম কিবরিয়া শামীমসহ (জিকে শামীম) অন্যদের ক্যাসিনো-সংশ্লিষ্টতায় জ্ঞাত
আয়বহির্ভূত অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মোসলেহ উদ্দিনসহ তিনজনকে তলব করা হয় বলে জানিয়েছে
দুদক।
দুদকের পাঠানো নোটিসে
বলা হয়, ‘ঠিকাদার জিকে শামীমসহ অন্যান্য ব্যক্তির বিরুদ্ধে সরকারি কর্মকর্তাদের শত
শত কোটি টাকা ঘুষ দিয়ে বড় বড় ঠিকাদারি কাজের মাধ্যমে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ অনুসন্ধান
চলছে। সুষ্ঠু অনুসন্ধানে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের বক্তব্য রেকর্ড করে পর্যালোচনা করা
প্রয়োজন।’
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী
বাহিনীর ক্যাসিনোবিরোধী অভিযান শুরুর পর গত ৩০ সেপ্টেম্বর ক্যাসিনো-সংশ্লিষ্টতার মাধ্যমে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে জড়িত ব্যক্তিদের সম্পদ
অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেয় দুদক। এ লক্ষ্যে পরিচালক সৈয়দ ইকবাল হোসেনের নেতৃত্বে পাঁচ
সদস্যের অনুসন্ধান দল গঠন করা হয়। পরে আরো দুজনকে দলে যুক্ত করা হয়। দলের অন্য সদস্যরা
হলেন উপপরিচালক মো.
জাহাঙ্গীর আলম,
মো.
সালাহউদ্দিন,
সহকারী পরিচালক মামুনুর রশীদ চৌধুরী, সাইফুল
ইসলাম, আতাউর রহমান ও মোহাম্মদ নেয়ামুল আহসান গাজী। দুদকের অনুসন্ধান দলের তালিকায়
গণপূর্ত অধিদপ্তর ও জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষের অন্তত ২৫ জন প্রকৌশলীর নাম আছে। তাদের
মধ্যে গণপূর্তের সাবেক তিন প্রধান প্রকৌশলীসহ উচ্চপর্যায়ের কর্মকর্তারা আছেন।