এশিয়ান ফিন্যান্সিয়াল ফোরামে সালমান এফ রহমান

সুযোগ ও সুশাসনই বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি অর্জনের কারণ

নিজস্ব প্রতিবেদক

সুযোগ ও সুশাসনের কারণেই বাংলাদেশ প্রবৃদ্ধি অর্জন করতে পেরেছে। এশিয়ান ফিন্যান্সিয়াল ফোরামে এক প্যানেল আলোচনায় এ কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান।

গতকাল হংকংয়ে এশিয়ান ফিন্যান্সিয়াল ফোরামে (এএফএফ) ‘বৈশ্বিক বাণিজ্য ও সরবরাহ চেইন অর্থায়নের বিবর্তন শীর্ষক প্যানেল আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে প্যানেল বক্তা হিসেবে অংশগ্রহণ করে বক্তব্য রাখেন সালমান এফ রহমান। বৈশ্বিক ফোরামে অংশগ্রহণকারী বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন তিনি। এইচএসবিসির গ্লোবাল ট্রেড অ্যান্ড রিসিভেবলস ফিন্যান্সের বৈশ্বিক প্রধান নাটালি ব্লাইথের তত্ত্বাবধানে অনুষ্ঠানের অন্য দুই বক্তা ছিলেন চীনের লি অ্যান্ড ফাং লিমিটেডের গ্রুপ চেয়ারম্যান ড. উইলিয়াম ফাং ও স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড পিএলসির গ্রুপ প্রধান নির্বাহী বিল উইন্টার্স।

এএফএফ আয়োজিত প্যানেল আলোচনায় সংরক্ষণবাদের উত্থান, নিয়মনীতি-ভিত্তিক বৈশ্বিক বহুমুখী বাণিজ্য পদ্ধতিকে অগ্রাহ্য করার ক্রমবর্ধমান প্রবণতা, এসব অনিশ্চয়তার কারণে বৈশ্বিক সরবরাহ চেইনে কী ধরনের নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে, আর এসব চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় কী পদক্ষেপ নিতেই হবে, তা উঠে আসে।

বৈশ্বিক বাণিজ্য কাঠামোর কারণে বাংলাদেশ উপকৃত হয়েছে, আলোচনার এমন বক্তব্যে একমত পোষণ করে এক প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান প্রবৃদ্ধি নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ কী কী পদক্ষেপ নিয়েছে, তা বিস্তারিত বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, ১০ বছর আগে আমাদের মাত্র তিন হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হতো। এখন হয় ২৪ হাজার মেগাওয়াট। আমাদের রফতানি ৮ বিলিয়ন ডলার থেকে ৪০ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে। এসব কীভাবে হয়েছে? এসব হয়েছে কারণ এখানে সুযোগ ছিল, সুশাসনও ছিল। এই দুটি কারণেই বাংলাদেশ এ প্রবৃদ্ধি অর্জন করতে পেরেছে।

বিদ্যমান জলবায়ু সংকটে একেবারে সম্মুখে বাংলাদেশ, পরিবেশ বিষয়ে এ তথ্য উল্লেখ করে উপদেষ্টা বলেন, বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় পরিবেশবান্ধব কারখানা বাংলাদেশে অবস্থিত। সরকার পরিবেশ সুরক্ষায় ব্যবস্থা নিচ্ছে। তিনি প্রযুক্তি, বিশেষ করে চতুর্থ শিল্প বিপ্লব ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার মতো প্রযুক্তির চ্যালেঞ্জ এবং এসব মোকাবেলায় বাংলাদেশ সরকারের গৃহীত পদক্ষেপ নিয়ে আলোচনা করেন। তিনি বলেন, ১০ বছর আগে সরকার ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার উদ্যোগ নেয়। আজ সারা দেশে ইউনিয়ন পর্যায়ে ফাইবার অপটিক কাঠামো স্থাপন করা সম্ভব হয়েছে। আমরা শিগগিরই শিশুদের পাঠ্যক্রমে কোডিং অন্তর্ভুক্ত করতে চাই। কেননা আমরা যদি প্রস্তুত না থাকি, তাহলে প্রযুক্তিগত উত্কর্ষের সুবিধা ঘরে তুলতে পারব না।

প্যানেল আলোচনা ছাড়াও এএফএফের অন্যান্য অনুষ্ঠানেও অংশ নেয়ার কথা রয়েছে সালমান এফ রহমানের। ফোরামে হংকংয়ে অবস্থিত বাংলাদেশ কনস্যুলেটবাংলাদেশে বিনিয়োগ ও ব্যবসার সুযোগ শীর্ষক একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে, যাতে উপদেষ্টা একটি পাওয়ারপয়েন্ট উপস্থাপনা করবেন। এর বাইরে এইচএসবিসির জ্যেষ্ঠ ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তারা ব্যাংকটির গ্রাহক ও সম্ভাব্য বিনিয়োগকারীদের সঙ্গে একাধিক বৈঠকে মিলিত হওয়ার কর্মসূচিও রয়েছে।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন