ইউএসডিএর প্রতিবেদন

পাম অয়েল উৎপাদন কমবে মালয়েশিয়ায়

বণিক বার্তা ডেস্ক

চলতি মৌসুমে মালয়েশিয়ায় পাম অয়েল উৎপাদন কমবে বলে পূর্বাভাস করেছে খাতসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সংস্থা। মার্কিন কৃষি বিভাগের (ইউএসডিএ) সাম্প্রতিক প্রতিবেদনগুলোও একই কথার পুনরাবৃত্তি করছে। ধারাবাহিকতায় সর্বশেষ মাসভিত্তিক প্রতিবেদনে দেশটিতে পাম অয়েলের উৎপাদন পূর্বাভাস আরো শতাংশ কমিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। খবর কমোডিটি অনলাইন।

ইউএসডিএর ডিসেম্বরের প্রতিবেদন তথ্য অনুয়ায়ী, ২০১৯-২০ মৌসুমে মালয়েশিয়ায় সব মিলিয়ে কোটি হাজার টন পাম অয়েল উৎপাদন হতে পারে, যা আগের মাসের গত বছরের একই মাসের প্রতিবেদনের তুলনায় যথাক্রমে শতাংশ কম।

এমনকি মৌসুমে মালয়েশিয়ায় আবাদ বাড়লেও পামের উৎপাদন কমতে পারে। প্রতিকূল আবহাওয়া অপর্যাপ্ত সারের ব্যবহার দেশটিতে কৃষিপণ্যটির ফলনে নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে বলে পূর্বাভাস করেছে ইউএসডিএ।

তথ্যমতে, চলতি মৌসুমে দেশটির ৫৩ লাখ ৫০ হাজার হেক্টরজুড়ে পামের আবাদ হতে পারে, যা ইউএসডিএর আগের প্রতিবেদনের তুলনায় অপরিবর্তিত গত বছরে একই সময়ের তুলনায় শতাংশ বেশি। অর্থাৎ এবার আবাদি জমির পরিমাণ একই থাকলেও দেশটিতে পামের ফলন কমবে। ইউএসডিএর তথ্য অনুযায়ী, প্রতি হেক্টরে ৩৮ লাখ ৩০ হাজার টন পাম উৎপাদন হতে পারে, যা আগের মাস গত বছরের একই সময়ের তুলনায় যথাক্রমে শতাংশ কম।

মালয়েশিয়া বিশ্বের দ্বিতীয় শীর্ষ পাম অয়েল উৎপাদনকারী দেশ। ২০১৭ ২০১৮ সালে দেশটির গড় বৃষ্টিপাতের পরিমাণ বেশি ছিল। ফলে সময় দেশটিতে পামের ফলনে চাঙ্গা ভাব বজায় ছিল। তবে ২০১৯ সালজুড়ে দেশটিতে পর্যাপ্ত বৃষ্টিপাতের অভাবে চলতি মৌসুমে পণ্যটির ফলনে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে।

এরই মধ্যে মালয়েশিয়ায় ভোজ্যতেলটির উৎপাদন কমতে শুরু করেছে। মালয়েশিয়া পাম অয়েল বোর্ডের (এমপিওবি) তথ্য অনুযায়ী, বিদায়ী বছরের অক্টোবর নভেম্বর মিলে দেশটিতে ৩৩ লাখ ৩০ হাজার টন অপরিশোধিত পাম অয়েল উৎপাদন হয়েছে, যা আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ১৩ শতাংশ কম। একই সঙ্গে তা ২০০৮ সালের অক্টোবর নভেম্বরের পর সর্বনিম্ন।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন