উপমহাদেশের কিংবদন্তি চলচ্চিত্র নির্মাতা ঋত্বিক ঘটকের বোন প্রতীতি দেবীর ইচ্ছা ও লিখিত চুক্তি অনুযায়ী মৃত্যুর পর তার দেহ দান করা হয়েছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় ও হাসপাতালকে। গতকাল বেলা ১টার দিকে আনুষ্ঠানিকভাবে তার মেয়ে অ্যারোমা দত্তসহ আরো কয়েকজন আত্মীয় ও শুভানুধ্যায়ী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় ও হাসপাতালে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রতীতি দেবীর মরদেহ হস্তান্তর করেন। অ্যারোমা দত্ত এ সম্পর্কে বলেন, ‘সমাজের
জন্য, গবেষণার জন্য, মানবতার জন্য প্রতীতি দেবীর এ সিদ্ধান্ত দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে।’
এর আগে গত রোববার রাতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান প্রতীতি দেবী। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৯৫ বছর। ১৯২৫ সালের ৪ নভেম্বর পুরান ঢাকার হূষিকেশ দাস রোডের এক বাড়িতে ঋত্বিক ঘটক ও প্রতীতি দেবী ঘটকের জন্ম হয়। ১৯৪৭ সালের দেশ ভাগের সময় অনেকেই বাংলাদেশ ছেড়ে পশ্চিমবঙ্গে চলে গিয়েছিলেন। ঋত্বিক ও প্রতীতিও চলে গিয়েছিলেন ভারতে। কিন্তু পরে বাংলাদেশে ফিরে আসেন প্রতীতি। এখানে তার বিয়ে হয় ভাষা সংগ্রামী ও পূর্ব পাকিস্তানের মন্ত্রী ধীরেন্দ্রনাথ দত্তের ছেলে সঞ্জীব দত্তের সঙ্গে। এ দম্পতির ছেলে রাহুল দত্ত ও কন্যা অ্যারোমা দত্ত।
১৯৭১ সালের ২৯ মার্চ কুমিল্লার নিজ বাসভবন থেকে প্রতীতির চোখের সামনেই পাক হানাদার বাহিনী ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত ও তার ছোট ছেলে দিলীপ কুমার দত্তকে ধরে নিয়ে যায়।