অক্টোবর-ডিসেম্বর

ভারতের তুলা রফতানি অর্ধেকে নেমেছে

বণিক বার্তা ডেস্ক

প্রতি বছর অক্টোবর ভারতে তুলার নতুন বিপণন মৌসুম শুরু হয়। চলতি ২০১৯-২০ মৌসুমের প্রথম তিন মাসে (অক্টোবর-ডিসেম্বর) দেশটি থেকে আন্তর্জাতিক বাজারে পণ্যটির রফতানিতে মন্দা ভাব বজায় রয়েছে। সময় ভারত থেকে তুলা রফতানি আগের মৌসুমের একই সময়ের তুলনায় প্রায় অর্ধেকে নেমে এসেছে। কটন অ্যাসোসিয়েশন অব ইন্ডিয়ার (সিএআই) সাম্প্রতিক এক প্রতিবেদনে তথ্য জানানো হয়েছে। খবর বিজনেস লাইন বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড।

সিএআইয়ের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০১৯-২০ বিপণন মৌসুমের প্রথম তিন মাসে ভারত থেকে আন্তর্জাতিক বাজারে সব মিলিয়ে ১০ লাখ বেল (প্রতি বেলে ১৭০ কেজি) তুলা রফতানি হয়েছে, যা আগের মৌসুমের একই সময়ের তুলনায় ৪৫ শতাংশ কম। ২০১৮-১৯ মৌসুমের অক্টোবর-ডিসেম্বরে দেশটি থেকে মোট ১৭ লাখ বেল তুলা রফতানি হয়েছিল। সে হিসাবে এক বছরের ব্যবধানে দেশটি থেকে তুলা রফতানি কমেছে সাত লাখ বেল।

অভ্যন্তরীণ বাজারে তুলার বাড়তি মূল্যকে রফতানি কমার পেছনে বড় কারণ হিসেবে উল্লেখ করেছেন সিএআই প্রেসিডেন্ট অতুল জ্ঞানেত্র। তিনি বলেন, গত মৌসুমে প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে ভারতে খুবই কম তুলা উৎপাদন হয়েছে। এর জের ধরে পণ্যটির দাম বেড়ে গেছে। এমনকি আন্তর্জাতিক বাজারের তুলনায় ভারতে বাড়তি দামে তুলা বিক্রি হয়েছে। কারণে খাতসংশ্লিষ্টরা রফতানির পরিবর্তে দেশের বাজারে তুলা বিক্রিতে বেশি আগ্রহী ছিলেন। এর প্রভাব পড়েছে পণ্যটির রফতানিতে। মৌসুমের প্রথম তিন মাসে তুলা রফতানি প্রায় অর্ধেক কমেছে।

তবে নতুন মৌসুমের তুলা বাজারে আসায় কিছুদিন ধরে ভারতে পণ্যটির দাম কমে এসেছে। দেশটির বাজারে এক মাস আগেও প্রতি ক্যান্ডি তুলা ৪১ হাজার ৯০০ রুপিতে (ভারতীয় মুদ্রা) বিক্রি হয়েছিল। বর্তমানে একই পরিমাণ তুলার দাম কমে দাঁড়িয়েছে ৩৯ হাজার ৫০০ রুপিতে। আবহাওয়ায় বড় ধরনের পরিবর্তন না এলে আগামী দিনগুলোয় পণ্যটির দাম আরো কমতে পারে। ফলে মৌসুমের বাকি সময়ে ভারতের তুলা রফতানি খাত বর্তমানের তুলনায় চাঙ্গা হয়ে ওঠার সম্ভাবনা রয়েছে।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন