যুক্তরাষ্ট্রে ৫৭-তে দাঁড়াল ই-সিগারেটে মৃত্যু

বণিক বার্তা অনলাইন

যুক্তরাষ্ট্রে ই-সিগারেট দিয়ে ধূমপানের কারণে শ্বাসযন্ত্রের রহস্যময় রোগে আরো দুই জনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছে দেশটির স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা। গত বৃহস্পতিবারের এ তথ্য জানানো হয়। এ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে ই-সিগারেট পানজনিত স্বাস্থ্য সমস্যায় মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়াল ৫৭ জনে। খবর রয়টার্স।

গত ৭ জানুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের রোগ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ কেন্দ্র (সিডিসি) ই-সিগারেট বা ভ্যাপিং ব্যবহারজনিত অসুস্থতার ৪১টি নতুন ঘটনার প্রতিবেদন প্রকাশ করে। প্রতিবেদন অনুযায়ী, এ ধরনের অসুস্থতায় এখন পর্যন্ত হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে প্রায় ২ হাজার ৬০২ জন।

ই-সিগারেট বা ভ্যাপিং গেজেটের ভেতরে নিকোটিন, প্রোপাইলিন গ্লাইকল অথবা ভেজিটেবল গ্লিসারিন এবং সুগন্ধী মিশ্রিত তরল থাকে। এই তরলটিকে তাপে বাষ্পীভূত করে ধোঁয়ার মতো গ্রহণ করা হয়। সাধারণ তামাকে অনেক ধরনের ক্ষতিকর রাসায়নিক থাকে যেমন, টার এবং কার্বন মনোক্সাইড। দাবি করা হয়, ই-সিগারেট সে তুলনায় কম ক্ষতিকর। তাছাড়া এ ধরনের গেজেটে নিকোটিনের মাত্রা নিয়ন্ত্রণও করা যায়। এ কারণে যুক্তরাজ্যের সরকারি স্বাস্থ্য বিভাগ ধূমপায়ীদের ধূমপান ছাড়ার জন্য ই-সিগারেট সহায়ক হতে পারে বলে প্রচার করে আসছিল। স্বাস্থ্য বিভাগের মতে, নিকোটিনের কারণে ক্যান্সার হয় না, কিন্তু সাধারণ সিগারেটে থাকা তামাকের বিভিন্ন রাসায়নিকের কারণে ক্যান্সার হতে পারে। 

তবে যুক্তরাষ্ট্রে ৫৭ জনের মৃত্যু ই-সিগারেটের প্রতি ইতিবাচক ধারণাকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে। এ ইলেকট্রনিক গেজেটকে অনেকে আরো বিপজ্জনক বলে বর্ণনা করছেন। 

সিডিসি গত মাসে একাধিক প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে, মারিজুয়ানা বা গাঁজার ভ্যাপ কার্টিজে ব্যবহৃত বিকল্প নেশাদ্রব্য ভিটামিন ই অ্যাসিটেট শ্বাসযন্ত্রের সমস্যা সৃষ্টির জন্য দায়ী। এর সপক্ষে তথ্য-প্রমাণ সামনে আসার পর থেকে ই-সিগারেট বা অন্যান্য ভ্যাপ সংশ্লিষ্ট শ্বাসযন্ত্রের সমস্যা কমে আসতে শুরু করেছে।

সিডিসি ভিটামিন ই অ্যাসিটেটকে ‘ক্যামিক্যাল অব কনসার্ন’ উদ্বেগ জাগানিয়া রাসায়নিক হিসেবে অভিহিত করেছে। এ বিষয়ে তদন্ত চলমান থাকা অবস্থায় এ পদার্থটি ই-সিগারেট বা ভ্যাপ পণ্যে যুক্ত না করার সুপারিশও করা হয়েছে। 

এদিকে এরই মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র ও ভারতসহ অন্তত ২০টি দেশ ই-সিগারেট বিক্রি নিষিদ্ধ করেছে। যুক্তরাষ্ট্র অবশ্য নির্দিষ্ট কিছু ফ্লেভারের ই-সিগারেট বিক্রি নিষিদ্ধ করেছে। যদিও মেনথল ও তামাক ফ্লেভার বিক্রির অনুমোদন এখনো রয়েছে। বাংলাদেশ সরকারও এটি নিষিদ্ধ করার কথা ভাবছে।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন