উড়োজাহাজের যন্ত্রাংশ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান স্পিরিট অ্যারোসিস্টেমস নিজেদের উইচিতা-কানসাাস কারখানায় ২০ শতাংশের বেশি কর্মী ছাঁটাইয়ের ঘোষণা দিয়েছে। ম্যাক্স ৭৩৭ গ্রাউন্ডেড থাকায় বোয়িংয়ের বৃহত্তম সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানটির কারখানার কার্যক্রম সীমিত হয়ে আসে। এ পরিস্থিতিতে মডেলটির সেবায় ফেরা নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হওয়ায় কর্মী ছাঁটাইয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছে স্পিরিট। খবর রয়টার্স।
কোম্পানিটি যে পরিমাণ কর্মী ছাঁটাইয়ের
ঘোষণা দিয়েছে, তা নিজেদের মোট কর্মীর প্রায় ১৫ শতাংশ। স্পিরিটের বিপুলসংখ্যক কর্মী
ছাঁটাইয়ের সিদ্ধান্ত বোয়িংয়ের ম্যাক্স ইস্যুতে যন্ত্রাংশ সরবরাহকারীদের ওপর প্রথম
বড় কোনো ধাক্কা। এদিকে কর্মী ছাঁটাইয়ের ঘোষণায় স্পিরিটের শেয়ার কমেছে ৪ দশমিক ২
শতাংশ।
২০ শতাংশের বেশি কর্মী ছাঁটাইয়ের
কারণে উইচিতা অঞ্চলের ২ হাজার ৮০০ কর্মী চাকরি হারাবেন বলে জানিয়েছেন স্পিরিটের
প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা
(সিইও)
টম জেনটাইল। অন্যদিকে বোয়িংয়ের সঙ্গে নতুন
চুক্তির ভিত্তিতে আরো কর্মী ছাঁটাই করা হতে পারে বলেও জানিয়েছেন তিনি। প্রসঙ্গত, পুরো
বিশ্বে স্পিরিটের ১৮ হাজার কর্মীর মধ্যে উইচিতায় কাজ করেন ১৩ হাজার।
বোয়িংয়ের ৭৩৭ ম্যাক্স মডেলের জন্য
ফিউজল্যাজ, থ্রাস্ট রিভার্সার,
ইঞ্জিন পাইলন ও পাখার বিভিন্ন সরঞ্জাম সরবরাহ
করেছে স্পিরিট। কোম্পানিটির বার্ষিক ৭০০ কোটি ডলারেরও বেশি আয়ের অর্ধেকের বেশি
এসেছে বোয়িংয়ে সরঞ্জামাদি সরবরাহ থেকে।
এদিকে সৃষ্ট পরিস্থিতি সম্পর্কে
স্পিরিটের সিইও জানান, ম্যাক্স মডেল তৈরির কার্যক্রম কবে থেকে পুনরায় শুরু হবে বা হলেও কী
হারে হবে, এ বিষয়ে স্পিরিটকে কিছু জানায়নি বোয়িং।