অবশেষে শ্রীপুর রেলস্টেশনে যমুনা এক্সপ্রেসের যাত্রাবিরতি

বণিক বার্তা প্রতিনিধি গাজীপুর

চার বছর ধরে গাজীপুরের শ্রীপুর রেলস্টেশনে আন্তঃনগর যমুনা এক্সপ্রেস ট্রেনের যাত্রাবিরতির দাবি জানিয়ে আসছিল এলাকাবাসী। তবে দাবি পূরণ না হওয়ায় বাধ্য হয়ে লাল পতাকা দেখিয়ে ট্রেন থামিয়ে যাতায়াত করতেন এখানকার যাত্রীরা। এতে একদিকে বিনা টিকিটে যাত্রার কারণে সরকার যেমন রাজস্ববঞ্চিত হচ্ছিল, তেমনি যাত্রীদেরও দুর্ভোগ পোহাতে হতো। তবে শেষ পর্যন্ত দুর্ভোগের অবসান হয়েছে। গতকাল থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে শ্রীপুর রেলস্টেশনে থামতে শুরু করেছে আন্তঃনগর যমুনা এক্সপ্রেস।

রেল বিভাগের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, শুক্রবার সকাল থেকে গাজীপুরের জয়দেবপুর-ময়মনসিংহ রেললাইনের শ্রীপুর স্টেশনে আন্তঃনগর যমুনা ট্রেন এখন থেকে প্রতিদিন যাত্রাবিরতি করবে। দীর্ঘ চার বছরের দাবি পূরণ হওয়ায় খুশি এখানকার যাত্রীরা। শুক্রবার ভোরের আগেই ট্রেন ধরতে স্টেশনে পৌঁছে যান যাত্রীরা।

শ্রীপুর বাজার বণিক সমিতির সাবেক নেতা ব্যবসায়ী তপন বণিক বলেন, শিল্প এলাকা শ্রীপুর থেকে প্রতিদিন বহু যাত্রী প্রাত্যহিক প্রয়োজনে দেশের বিভিন্ন স্থানে গমন করে থাকেন। এর মধ্যে যাত্রীদের একটি অংশের অন্যতম মাধ্যম ট্রেন। তবে দুঃখের বিষয় ছিল যে এখানে এতদিন কোনো আন্তঃনগর ট্রেনের স্টপেজ ছিল না। যাত্রীদের সুবিধা বিবেচনায় শ্রীপুরবাসী চার বছর আগে আন্দোলন শুরু করে। সময় নানাভাবে রেল বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি অবহিত করা হয়। তবে বিভিন্ন সময় আশ্বাস পাওয়া গেলেও তা বাস্তবায়ন হয়নি। অবশেষে ১০ জানুয়ারি সকাল থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে স্টেশনে যাত্রাবিরতি শুরু করেছে যমুনা।

তিনি জানান, এর আগে যাত্রীরা নিজ উদ্যোগে লাল পতাকা ধরে ট্রেন থামিয়ে দীর্ঘ চার বছর ধরে স্টেশন থেকে যাতায়াত করতেন। তবে বিনা টিকিটে ট্রেনে ভ্রমণ করায় তাদের নানাভাবে হেনস্থা হতে হতো। সরকারি সিদ্ধান্তে ভোগান্তিমুক্ত হলেন যাত্রীরা।

শ্রীপুর স্টেশনের সহকারী মাস্টার সাইদুর রহমান জানান, প্রতিদিন ঝুঁকিপূর্ণ উপায়ে স্টেশনে লাল কাপড় দেখিয়ে ট্রেন থামিয়ে যাতায়াত করতেন যাত্রীরা। তবে গতকাল থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রাবিরতি শুরু করেছে আন্তঃনগর যমুন ট্রেনটি। ট্রেনে গন্তব্যের জন্য যাত্রীদের আপ-ডাউনে ১০টি করে মোট ২০টি টিকিট বরাদ্দ করা হয়েছে।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন