শুরু হলো মুজিববর্ষের ক্ষণগণনা

বণিক বার্তা অনলাইন

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপনের ক্ষণগণনা (কাউন্টডাউন) শুরু হয়েছে। আজ শুক্রবার বিকাল সোয়া ৫টার দিকে তেজগাঁও পুরাতন বিমানবন্দরে মুজিববর্ষের লোগো উন্মোচন ও ক্ষণগণনার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। 

সারাদেশের ১২টি সিটি করপোরেশনের ২৮টি জায়গা, বিভাগীয় শহর, ৫৩ জেলা, দুই উপজেলা ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ রাজধানীতে মোট ৮৩টি স্থানে ক্ষণগণনার ঘড়ি বসানো হয়েছে। এসব ঘড়িও প্রধানমন্ত্রীর উদ্বোধনের সঙ্গে সঙ্গে  চালু হয়ে গেছে।

২০২০ সালের ১৭ মার্চ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মগ্রহণের শততম বছর পূর্ণ হবে। এবছরের ১৭ মার্চ থেকে ২০২১ সালের ১৭ মার্চ পর্যন্ত জাতির পিতার জন্মশতবর্ষ উদযাপন করবে বাংলাদেশ।

উল্লেখ্য আজ ১০ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস। দীর্ঘ নয় মাস পাকিস্তানে কারাবাস থেকে মুক্ত হয়ে এই দিনে দেশে ফেরেন তিনি। দিনটিকে উপলক্ষ করে মুজিববর্ষের ক্ষণগণনার উদ্বোধন করা হলো।

১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি এক উৎসবমুখর পরিবেশে লাখো মানুষ বরণ করে নিয়েছিল তাদের প্রিয় নেতাকে। এরপর মিছিল সহকারে তাকে নিয়ে যাওয়া হয় সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে। আজ শুক্রবার বিকালে তেজগাঁও বিমানবন্দরে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীর ক্ষণগণনা অনুষ্ঠানে বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের প্রতীকী আবহ তৈরি করতে বিমান আনা হয়। লেজার রশ্মির মাধ্যমে বিমান থেকে বঙ্গবন্ধুর নামার চিত্র ফুটিয়ে তোলা হয়। দেয়া হয় গার্ড অব অনার।

২০১৯ সালের ১২ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আওয়ামী লীগের যৌথ সভায় মুজিব বর্ষ উদ্‌যাপনের সিদ্ধান্ত হয়েছিল। ওই সভায় সিদ্ধান্ত হয়, ২০২০ সালের ১৭ মার্চ থেকে ২০২১ সালের ১৭ মার্চ পর্যন্ত সরকার মুজিব বর্ষ উদ্‌যাপন করবে। দেশের ভেতর ছাড়াও বাইরে উদ্‌যাপিত হবে জন্মশতবার্ষিকী ও মুজিব বর্ষের আনন্দ আয়োজন।

জন্মশতবার্ষিকীর মূল অনুষ্ঠানটি হবে এ বছরের ১৭ মার্চ জাতীয় প্যারেড গ্রাউন্ডে, সেদিন বঙ্গবন্ধুর জন্মগ্রহণের শতবর্ষ পূর্ণ হবে। ওই অনুষ্ঠানে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিসহ কয়েকজন বিশ্বনেতা উপস্থিত থাকবেন। রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপস্থিতিতে ওই অনুষ্ঠানে বঙ্গবন্ধুর ব্যক্তি ও কর্মজীবন নিয়ে হলোগ্রাফিক উপস্থাপনা ও থিম সং পরিবেশিত হবে। ১৭ মার্চ মূল অনুষ্ঠানের পর থাকবে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও আতশবাজি।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন