মুজিব শতবর্ষ

শুরু হচ্ছে মুজিব বর্ষের ক্ষণগণনা

নিজস্ব প্রতিবেদক

জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে মুজিব বর্ষ উদযাপন শুরু হচ্ছে আগামী ১৭ এপ্রিল। অন্যদিকে বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসে আজ শুরু হচ্ছে এর ক্ষণগণনা।

জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটি সূত্রে জানা গেছে, বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের দিনটিকে স্মরণীয় করতে আজ তেজগাঁওয়ের পুরনো বিমানবন্দরে বেশ জাঁকজমকভাবে আয়োজন করা হচ্ছে। বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তনকালে তাকে বহনকারী ব্রিটিশ কমেট উড়োজাহাজ তেজগাঁওয়ের পুরনো বিমানবন্দরে অবতরণ করেছিল ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি বেলা ১টা ৪১ মিনিটে। তবে শুক্রবার ও বিশ্ব ইজতেমার প্রথম দিন হওয়ায় এ ক্ষণগণনার অনুষ্ঠান বেলা ৩টার পর আয়োজনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

এ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে মুজিব বর্ষের লোগো উন্মোচন করবেন প্রধানমন্ত্রী। এরপর বক্তব্য রাখবেন তিনি। বিকাল ৫টা নাগাদ মুজিব বর্ষের ক্ষণগণনার ডিজিটাল ঘড়ির উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী। এটি উদ্বোধনের সময় জাতীয় সংসদের সামনে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ স্বয়ংক্রিয়ভাবে একই সঙ্গে বিভিন্ন স্থানে স্থাপিত ক্ষণগণনার ডিজিটাল ঘড়ি চালু হয়ে যাবে। এ সময় একই সঙ্গে সারা দেশের ২৮টি বড় শহর, ৫৩টি জেলা, টুঙ্গিপাড়া ও মুজিবনগরে স্থাপিত ডিজিটাল ঘড়িগুলোও চালু হয়ে যাবে।

জানা গেছে, ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধু পুরনো বিমানবন্দরের যে জায়গায় নেমেছিলেন, সেখানে প্রতীকী আবহ তৈরির প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। এ আয়োজন বাস্তবায়নে জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটি ও সশস্ত্র বাহিনী কাজ করছে। সবচেয়ে বড় আকর্ষণ হতে পারে বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের প্রতীকী উপস্থাপনা। সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ এটি বাস্তবায়ন করবে। পরিকল্পনা অনুযায়ী, ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারির মতোই একটি এয়ারক্রাফট থেকে নেমে আসবেন বঙ্গবন্ধু। এ সময় তোপধ্বনি করা হবে। একই সঙ্গে জাতির জনককে উদ্দেশ করে দেয়া হবে প্রতীকী অভ্যর্থনা ও গার্ড অব অনার। লেজার লাইটিংয়ের মাধ্যমে বিষয়টিকে জীবন্ত করে তোলার সব চেষ্টা হচ্ছে বলে জানিয়েছে বাস্তবায়ন কমিটি। একই সময় ডিজিটাল ঘড়ি স্থাপন ও এলইডি স্ক্রিনের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুর জীবন-সংগ্রাম তুলে ধরা হবে। থাকবে বিভিন্ন অডিও ভিজ্যুয়াল পরিবেশনা।

১৯৭২ সালে বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের সময়ে তাকে বরণ করার জন্য তেজগাঁওয়ের পুরনো বিমানবন্দর লোকে লোকারণ্য ছিল। কিন্তু বর্তমান বাস্তবতায় এত লোককে একসঙ্গে স্থান দেয়া সম্ভব হবে না। তাই পুরনো বিমানবন্দরে আজকের অনুষ্ঠানে দুই হাজার আমন্ত্রিত অতিথি ও ১০-১২ হাজার মানুষের উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে। এর বাইরে সারা দেশের গুরুত্বপূর্ণ এলাকাগুলোয় ডিজিটাল স্ক্রিনের মাধ্যমে অনুষ্ঠানটি সরাসরি সম্প্রচারের কথা রয়েছে।

এ বিষয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটির প্রধান সমন্বয়ক কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী বলেন, পাকিস্তান কারাগার থেকে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু যেদিন দেশে ফিরেছিলেন, সেই ঐতিহাসিক দিনকে মুজিব বর্ষের ক্ষণগণনার দিন হিসেবে বেছে নেয়া হয়েছে। বঙ্গবন্ধুর ফিরে আসার পরিবেশটা আমরা পরিপূর্ণভাবে তুলে ধরতে পারব না। কিন্তু সে সময়টা এবং সে সময়ে আমাদের যে অপেক্ষাএর মধ্যে সমন্বয় করে একটা প্রতীকী আবহ তৈরি করে আমরা চাচ্ছি বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীর ক্ষণগণনার কাজটা শুরু করতে। আমার মনে হয়, আমরা এরপর অপেক্ষা করব প্রতি মুহূর্ত। সেটা শেষ হবে ১৭ মার্চ জিরো আওয়ারে।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন