কুমিল্লায় ভবনের নকশাবহির্ভূত অংশ অপসারণ

কর্তৃপক্ষের নিষ্ক্রিয়তার কারণ জানতে চেয়ে রুল

বণিক বার্তা প্রতিনিধি কুমিল্লা

কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের (কুসিক) উত্তর আশ্রাফপুর এলাকার বহুতল ভবনের নকশাবহির্ভূত অংশ অপসারণের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্টদের নিষ্ক্রিয়তার কারণ জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে ভবন নির্মাণে দুই মাসের নিষেধাজ্ঞা জারির আদেশ দিয়ে জবাব দাখিলের জন্য বলা হয়েছে। গত ১৫ ডিসেম্বর ক্ষতিগ্রস্ত দুই ভবন মালিকের দাখিল করা পৃথক রিটের শুনানি শেষে এ আদেশ দেন বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমান সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ। তবে বিষয়টি গণমাধ্যমে আসে গতকাল। উভয় আবেদনে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের সচিব, কুসিক মেয়র, প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা, নির্বাহী প্রকৌশলী ও সংশ্লিষ্ট ভবনের দুই মালিকসহ ১০ জনকে বিবাদীভুক্ত করা হয়।

অভিযোগ থেকে জানা গেছে, উত্তর আশ্রাফপুর (হালুয়াপাড়া) এলাকার মো. জয়নাল আবেদীন ও মোশারফ হোসেন সিটি করপোরেশন থেকে পাঁচতলা ভবন নির্মাণের নকশা অনুমোদন নিয়ে সেখানে ছয়তলা ভবন নির্মাণকাজ শুরু করেন। কিন্তু তারা ভবনের চারপাশে কোনো জায়গা ছাড় দেননি, যা ইমারত নির্মাণ আইনের লঙ্ঘন। এজন্য নির্মাণাধীন ওই ভবনের পাশের আরেকটি ভবন ও একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে সিটি করপোরেশনে একাধিকবার অভিযোগ দিয়েও কোনো কাজ হয়নি। অবশেষে ক্ষতিগ্রস্ত প্রতিবেশী মো. ইউসুফ আলী ও ইবনে তাইমিয়া স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ মোহাম্মদ শফিকুল আলম হেলাল হাইকোর্টে পৃথক রিট পিটিশন দাখিল করেন। দুটি রিট পিটিশনের শুনানি শেষে বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমান সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

বাদীপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট সাদিয়া তাসনিম জানান, ‘আদালত মো. ইউসুফ আলীর মামলায় কুমিল্লা সিটি মেয়র, প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও ভবন মালিকসহ সংশ্লিষ্টদের ভবনের নকশা বহির্ভূত অংশ ভাঙার ক্ষেত্রে নিষ্ক্রিয়তার কারণ জানতে চেয়ে রুল জারি করেন। এছাড়া অধ্যক্ষ মোহাম্মদ শফিকুল আলম হেলালের রিটের পরিপ্রেক্ষিতে ভবন নির্মাণের ক্ষেত্রে দুই মাসের নিষেধাজ্ঞা জারির আদেশ দেন।

এ বিষয়ে গতকাল দুপুরে কুসিকের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী শেখ মো. নুরুল্লাহ বলেন, জয়নাল আবেদীন ও মোশারফ হোসেনকে গত ৩ অক্টোবর তিনদিনের মধ্যে ভবনের নকশাবহির্ভূত অংশ নিজ দায়িত্বে ভেঙে ফেলতে নোটিস দেয়া হয়। কিন্তু তারা ওই অংশ ভেঙে ফেলেননি। রিট পিটিশনের দুটি আদেশের কপি আমরা পেয়েছি। পরবর্তী কার্যক্রমের জন্য তা সিটি করপোরেশনের আইনজীবীর কাছে দেয়া হয়েছে।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন