সত্য-মিথ্যা যাচাই ছাড়া ইন্টারনেটে কিছু শেয়ার করবেন না : প্রধানমন্ত্রী

বণিক বার্তা ডেস্ক

ইন্টারনেটে ক্ষতিকর ডিজিটাল কনটেন্ট ফিল্টারিংয়ের ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এজন্য সত্য-মিথ্যা যাচাই ছাড়া ইন্টারনেট ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কোনো কিছু শেয়ার বা পোস্ট না করার জন্য সবার প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে গতকাল সকালে ডিজিটাল বাংলাদেশ দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী এ আহ্বান জানান।

ডিজিটাল ডিভাইসের ব্যবহার বৃদ্ধিতে সুযোগ-সুবিধা বাড়ার পাশাপাশি নানা সমস্যাও সৃষ্টি হচ্ছে মন্তব্য করে শেখ হাসিনা বলেন, দেখা যায় মোবাইল ফোন, ইন্টারনেট বা অ্যাপস ব্যবহার করতে গেলে বিভিন্ন ধরনের অনেক অপ্রয়োজনীয় লিংক চলে আসে। তাই ক্ষতিকর ডিজিটাল কনটেন্ট যথাযথভাবে ফিল্টারের ব্যবস্থা করতে হবে।

শেখ হাসিনা বলেন, দেশের মানুষকে আমি বলব একটা কিছু এল (ইন্টারনেটে আপলোড হলো), অমনি সেটা শুনে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করা বা অন্য কিছু করা ঠিক নয়। সঠিক তথ্য যাচাই করে নেয়া দরকার। যাচাই না করে শুধু গুজবে কান দেয়া বা শুধু নিজের কৌতূহলবশত সেগুলোয় প্রবেশ না করাই ভালো। কোনো ধরনের মন্তব্য দেয়া বা ছড়ানো অথবা সেটাতে হাত দেয়াই উচিত নয়।

কোনো পোস্ট শেয়ার করতে গেলে আগে তার সত্য-মিথ্যা খোঁজ নিয়ে দেখতে হবে। এ অভ্যাস গড়ে তুললে সেটা আমাদের সমাজের জন্য, দেশের জন্য ও প্রত্যেকের ব্যক্তিজীবনের জন্য মঙ্গল বয়ে আনবে।

অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী তথ্যপ্রযুক্তি খাতে বিশেষ অবদানের জন্য ১৪ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের মধ্যেডিজিটাল বাংলাদেশ-২০১৯ সম্মাননা বিতরণ করেন। এ সময় তিনিআমার সরকার শীর্ষক একটি অ্যাপও উদ্বোধন করেন।

শিশু থেকে তরুণ পর্যন্ত সবাইকে সাইবার ক্রাইম বা সাইবার নিরাপত্তার বিষয়ে সচেতন করার ওপর গুরুত্বারোপ করে এ সময় প্রধানমন্ত্রী বলেন, মানুষ যেন এ ব্যাপারে আরো সজাগ হন, সেজন্য অভিভাবক, শিক্ষক থেকে শুরু করে সবাইকে আমি সচেতন থাকার আহ্বান জানাচ্ছি। কারণ এতে করে ছেলেমেয়েরা অনেক সময় বিপথে চলে যায়। অনেক ভুল বোঝাবুঝির সৃষ্টি হয়, অনেক ধরনের অপরাধের সঙ্গে তারা যুক্ত হয়ে পড়ে। এটা যেন না হতে পারে, সেজন্য সবাইকে সচেতন হতে হবে।

শেখ হাসিনা বলেন, আপনারা বাচ্চাদের হাতে মোবাইল তুলে দিচ্ছেন। কিন্তু তারা কী দেখছে, কোথায় যাচ্ছে, তার ওপর নজরদারি অবশ্যই থাকতে হবে। কারণ আসলে এটা একটা আসক্তির মতো হয়ে যায়।

এ সময় দেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতি সম্পর্কে শেখ হাসিনা বলেন, আমরা আজ দারিদ্র্যের হার কমিয়ে ২০ ভাগে আনতে সক্ষম হয়েছি এবং এটাকে আরো কমাতে চাই। প্রবৃদ্ধি ৮ দশমিক ১৫ শতাংশে উন্নীত করেছি, মূল্যস্ফীতি ৫ ভাগে ধরে রাখতে সক্ষম হয়েছি। মাথাপিছু আয় ১ হাজার ৯০৯ মার্কিন ডলারে উন্নীত করতে সক্ষম হয়েছি।

আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, ডাক ও টেলিযোগাযোগ এবং আইসিটি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান একেএম রহমতউল্লাহ এবং সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সচিব এএনএম জিয়াউল আলম অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন।

এ সময় মন্ত্রিপরিষদ সদস্য, প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা, সংসদ সদস্য, সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, বিদেশী কূটনীতিক ও উন্নয়ন সহযোগী সংস্থার প্রতিনিধিরাসহ উদ্যোক্তা, আইএসপি ও টেলিযোগাযোগ খাতসংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ও আমন্ত্রিত অতিথিরা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন