রাজবাড়ীতে ৩ শিক্ষিকাকে মারধর, মামলা দায়ের

বণিক বার্তা প্রতিনিধি, রাজবাড়ী

রাজবাড়ীর পাংশা উপজেলার একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রবেশ করে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিকাসহ তিন শিক্ষিকাকের মারধরের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় পাংশা মডেল থানায় একটি লিখিত মামলা দায়ের করেছেন ভুক্তভোগী ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিকা নাছিমা খাতুন।

আজ বুধবার সকালে উপজেলার হাবাসপুর ইউনিয়নের চরঝিকড়ী বিশ্বাস পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে জাতীয় সংগীত চলাকালে মারধরের শিকার হন বলে অভিযোগ ওই শিক্ষিকাদের। 

মারধরের শিকার অন্য দুই সহকারি শিক্ষিকা হলেন মোছা. আকলিমা খাতুন ও সুফিয়া খাতুন।

নাছিমা খাতুন বলেন, আজ (বুধবার) সকালে বিদ্যালয়ে জাতীয় সংগীত পরিবেশন চলছিল। এ সময় চরঝিকড়ী গ্রামের সামসুদ্দিন বিশ্বাসের ছেলে হাবিবুর রহমান বিশ্বাস বিদ্যালয়ে প্রবেশ করে অন্যায়ভাবে শিশু শ্রেণির একসেট নতুন বই দাবি করেন। বই দিতে না চাইলে তিনি তার উপর আক্রমণ করেন। এ সময় অন্য শিক্ষকরা এগিয়ে আসলে তাদেরও কিল ঘুষি ও লাথি মেরে আহত করেন।

কেন নতুন বই দেননি এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, হাবিবুর রহমানের একটি সন্তান আমাদের এখানে পড়শোনা করতো। তিনি তার সন্তানকে পাশের অন্য একটি স্কুলে ভর্তি করিয়েছেন। অন্য স্কুলের শিক্ষার্থীদের আমরা বই দিতে পারি না। এটা বলার পরই আমাদের উপর হামলা করেছেন।

পাংশা উপজেলা শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. জহুরুল হক বলেন, ‘এটা অত্যান্ত দুঃখজনক ঘটনা। শিক্ষকের উপর হামলার ঘটনায় আমি তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে সুষ্ঠু বিচার দাবি করছি।’

পাংশা উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো. বছির উদ্দিন বলেন, ‘বিষয়টি অত্যন্ত দুঃখজনক। আমরা সবাই ওই শিক্ষিকাদের দেখতে হাসপাতালে গিয়েছিলাম। এ ব্যপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানকে নিয়ে একটি সভা করা হয়েছে। আমরা সবাই দোষী ব্যক্তিকে আইনের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছি।’

এ ব্যপারে অভিযুক্ত হাবিবুর রহমানের মুঠোফোন বন্ধ পাওয়ায় তার সাথে কথা বলা সম্ভব হয়নি।

জানতে চাইলে পাংশা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আহসান উল্লাহ জানান, এ ব্যাপারে একটি মামলা দায়ের হয়েছে। পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। জড়িতদের গ্রেফতারে আমাদের অভিযান চলমান আছে। খুব শিগগির দোষী ব্যক্তিসহ ঘটনার সাথে জড়িতদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনা হবে।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন