কাঠের মেঝে পরিষ্কারের টোটকা

ফিচার ডেস্ক

আগের দিনের রাজা-বাদশা বা জমিদাররা ঘরে সৌন্দর্য আভিজাত্য আনতে কাঠের মেঝে ব্যবহার করতেন। এখনো মুন্সীগঞ্জসহ আরো বেশকিছু অঞ্চলে কাঠের মেঝে ব্যবহারের আধিক্য দেখা যায়। ঘরের সাজে আভিজাত্য ব্যতিক্রমী ভাব ফুটিয়ে তুলতে কাঠের মেঝে শহুরে বাড়িতে এমনকি অনেক অফিসেও স্থান করে নিয়েছে।

কাঠের মেঝে ঘরের সৌন্দর্য বাড়িয়ে দেয়। কাঠের মেঝেগুলো বাড়ির সজ্জার সব শৈলীতে উষ্ণতা এবং একটি অনন্য চেহারা যুক্ত করে। কাঠের মেঝে সাধারণত সলিড কাঠ কাঠের টাইলস দুই ধরনের হয়।

তবে কাঠের ঝকঝকে ভাব ধরে রাখতে একটু যত্নশীল হতে হয়। অনেকেই কাঠের মেঝে পরিষ্কার করা নিয়ে দুশ্চিন্তায় থাকেন। সহজ কিছু উপায়ে মেঝে পরিচ্ছন্ন ঝকঝকে রাখা যায়। চলুন জেনে নিই কাঠের মেঝে পরিষ্কারের কিছু টোটকা।

মেঝে উজ্জ্বল ঝকঝকে রাখার জন্য নিয়মিত ঝাড়ু দেয়া, ভ্যাকুয়াম বা মোছা উচিত। আপনি কতদিন পর পর বা দিনে কতবার মেঝে পরিষ্কার করবেন, সেটা নির্ভর করে মেঝের ব্যবহারের ওপর। এজন্য আপনার উড ফ্লোর ক্লিনার, পানি, কাপড়, ঝাড়ু, ডাস্ট মোপ বা ভ্যাকুয়ামের প্রয়োজন হবে। ধুলা পাথর কনা কাঠের মেঝেতে দাগ সৃষ্টি করতে পারে, তাই প্রতিদিন অন্তত একবার ঝাড়ু বা ভ্যাকুয়াম করে পরিষ্কার করুন। কার্পেট, বিছানা পাপোশের নিচে নিয়মিত পরিষ্কার করতে ভুলবেন না। এছাড়া চলাফেরার সময় পায়ের নিচে ধুলা-ময়লা মনে হলে সঙ্গে সঙ্গে পরিষ্কার করে ফেলুন। পরিষ্কার করতে আপনি নরম ঝাড়ু ব্যবহার করতে পারেন। এগুলো সাধারণত নাইলন বা রাবার দিয়ে তৈরি করা হয়। উভয় প্রকারের ঝাড়ুই ধুলা বা পাথর কনা পরিষ্কারে সহায়তা করে। জমে থাকা মাটি পরিষ্কারে ডাস্টপ্যান বা হ্যান্ড ভ্যাকুয়াম ব্যবহার করতে পারেন। তবে দুটি মাইক্রোফাইবার মপ থাকা ভালো। একটি শুকনো ধুলা-ময়লা পরিষ্কার এবং অন্যটি ভেজা স্থান পরিষ্কারের জন্য।

এছাড়া শক্ত কাঠের মেঝে পরিষ্কারের জন্য আপনি ভ্যাকুয়াম ব্যবহার করতে পারেন। মেঝেতে দাগ হওয়া প্রতিরোধের জন্য নরম ব্রিসলযুক্ত এবং প্রত্যাহারযোগ্য বিটার বার রয়েছে এমন একটি ভ্যাকুয়াম নির্বাচন করুন। আসবাব বা ঘরের কোণের ধুলা-ময়লা পরিষ্কারের জন্য আপনি ব্রাশ ব্যবহার করতে পারেন। মেঝে পরিষ্কারে বেশ কিছুক্ষণ ধরে পানি জমা হয়ে থাকে, এমন মপ বা কাপড় ব্যবহার না করার ভালো। বিশেষ করে গাঢ় রঙের ভেজা কাপড়, তরল খাবার বা পানীয়ের বিষয়ে অতিরিক্ত সচেতনতা অবলম্বন করা উচিত। এমন কিছু পড়লে সঙ্গে সঙ্গে পরিষ্কার করে ফেলুন। কারণ এগুলো কাঠের জন্য ক্ষতিকর। তরল ক্লিনার দিয়ে মেঝে পরিষ্কারের পর আবার শুকনো কিছু দিয়ে পুনরায় একবার মুছে দেয়া ভালো।

মেঝে নিয়মিত ঝাড়ু দেয়া বা মোছার পাশাপাশি আপনি মাসে অন্তত একবার ক্লিনার দিয়ে পরিষ্কার করুন। যেহেতু বেশির ভাগ কাঠের মেঝে পলিউরেথেন বা পলিয়্যাক্রিলিক ইউরেথেন দিয়ে সিলা করা থাকে, তাই ক্লিনার নির্বাচনে সতর্ক থাকা বুদ্ধিমানের কাজ। মেঝেতে কখনো ক্লোরিন ব্লিচ, অ্যামোনিয়া, পাইন অয়েল বা শুধু ভিনেগারের মতো কঠোর রাসায়নিক ব্যবহার করবেন না। এর পরিবর্তে কাঠের মেঝের জন্য উপযুক্ত লেখা রাসায়নিক উপাদানগুলো নির্বাচন করুন। পলিউরেথেন সিল করা কাঠের মেঝেতে কখনো তরল বা পেস্ট মোম ব্যবহার করবেন না।

 

সূত্র: দ্য স্প্রুস

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন