দুই-তৃতীয়াংশ গোল বিদেশীদের

ক্রীড়া প্রতিবেদক

ফেডারেশন কাপের গোলদাতা তালিকায় চোখ রাখলে প্রথম নয়জনে একজন স্থানীয় ফুটবলার খুঁজে পাবেন। ঢাকা আবাহনীর ফরোয়ার্ড নাবিব নেওয়াজ জীবন ছাড়া বাকি আটজনই বিদেশী! মৌসুম সূচনার আসরে বিদেশীদের দাপট বোঝাতে পরিসংখ্যানই যথেষ্ট।

সদ্যসমাপ্ত আসরের মোট ম্যাচ সংখ্যা ২২, গোল সংখ্যা ৫১, যার ৩৩.৩৩ শতাংশ (১৭ গোল) করেন স্থানীয়রা, ৬৬.৬৬ শতাংশ (৩৪ গোল) বিদেশীদের। স্থানীয়দের মধ্যে একমাত্র জীবনই একাধিক গোল করেন। সর্বোচ্চ গোল পুলিশ এফসির পুয়ের্তে রিকোর ফরোয়ার্ড সিডনি রিভেরার। তিন গোল করেন বসুন্ধরা কিংসের কোস্টারিকান ফরোয়ার্ড দানিয়েল কলিন্দ্রেস ঢাকা আবাহনীর হাইতিয়ান উইঙ্গার কেরভেন্স বেলফোর্ট। দুটি করে গোল লেখা আছে ছয়জনের নামের পাশে। এখানে একমাত্র বাংলাদেশী জীবন। এছাড়া তালিকায় আছেন সাইফ এসসির মুরলিঝম আখমেদভ, মোহামেডানের সুলেমান দিয়াবাতে, মুক্তিযোদ্ধার ইসমাইল বাঙ্গুরা, বসুন্ধরার মোহাম্মদ জালাল আবাহনীর সানডে চিজোবা। একটি করে গোল করেন ২৯ জন। ওই তালিকায় বাংলাদেশীরাই এগিয়ে। স্থানীয়রা ১৫ গোল করেন, বিদেশীরা বাকি ১৪ গোল। নকআউট পর্বের হিসাব কষলে বিদেশীদের গোল সংখ্যা ১১, স্থানীয়রা করেন গোল।

রক্ষণ মাঝমাঠেও বিদেশীরাই এগিয়ে। দেশীদের একমাত্র শক্তিশালী জায়গা গোলরক্ষক পজিশন। এখানে যে কোনো বিদেশী নেই!

গত কয়েক মৌসুমের তুলনায় এবার লিগে যে বিদেশীদের দাপট বাড়বে, তা ফেডারেশন কাপের পরিসংখ্যানেই স্পষ্ট। বিদেশীদের দাপটে স্থানীয়দের খেলার সুযোগ কমে আসবে। যার প্রভাব পড়বে জাতীয় দলেও। সে দৃষ্টিতে গত মৌসুমের চেয়ে এবার একজন বিদেশী বৃদ্ধির সিদ্ধান্তটা আত্মঘাতীই হবে বাংলাদেশের জন্য!

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন