চীনের বার্ষিক ইস্পাত উৎপাদন ১০০ কোটি টন ছাড়াতে পারে

বণিক বার্তা ডেস্ক

অর্থনৈতিক মন্দা বাণিজ্যযুদ্ধের প্রভাবে বিশ্বব্যাপী ইস্পাতের চাহিদা কমতির দিকে রয়েছে। ফলে বাজারে ব্যবহারিক ধাতুটির উদ্বৃত্ত সরবরাহ বিদ্যমান। এরই মধ্যে নতুন করে আরো উদ্বৃত্তের আভাস দিচ্ছে চীন। চলতি বছর দেশটিতে ইস্পাতের উৎপাদন ১০০ কোটি টন ছাড়িয়ে যেতে পারে বলে জানিয়েছে চায়না স্টিল লজিস্টিক প্রফেশনাল কমিটি (সিএফএলপি) বৈশ্বিক বাজারবিষয়ক গবেষণা প্রতিষ্ঠান আর্জাস মিডিয়ার প্রতিবেদনে তথ্য জানানো হয়েছে।

ওয়ার্ল্ড স্টিল অ্যাসোসিয়েশনের বরাত দিয়ে আর্জাস মিডিয়া বলছে, গত বছরের জানুয়ারি থেকে নভেম্বর পর্যন্ত চীনে ইস্পাতের উৎপাদন শতাংশ বেড়েছে। সব মিলিয়ে গত বছরের ১১ মাসে দেশটিতে ৯০ কোটি ৪১ লাখ ৮০ হাজার টন ইস্পাত উৎপাদন হয়েছে। আর বার্ষিক হিসাবে গত বছর দেশটিতে ইস্পাতের উৎপাদন দাঁড়াতে পারে ৯৮ কোটি ৬০ লাখ টন। সেই হিসাবে চলতি বছর ১০০ কোটি টন ইস্পাত উৎপাদনের লক্ষ্য অর্জন থেকে মাত্র শতাংশ পিছিয়ে থাকবে চীন।

তবে চলতি বছর ১০০ কোটি ইস্পাত উৎপাদনের লক্ষ্য পূরণ নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন খাতসংশ্লিষ্টরা। চীনের রাষ্ট্রীয় থিংক ট্যাংক প্রতিষ্ঠান মেটালার্জিক্যাল ইন্ডাস্ট্রি প্ল্যানিং অ্যান্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউট বলছে, চলতি বছর চীনে ইস্পাতের উৎপাদন গত বছরের তুলনায় দশমিক শতাংশ কমে ৯৮ কোটি ১০ লাখ টনে দাঁড়াতে পারে।

অন্যদিকে বৈশ্বিক ইস্পাতের অর্ধেকেরও বেশি এককভাবে উৎপাদন করে চীন। দেশটির বিপরীতে গত বছর ইইউ, তুরস্ক, সিআইএস (সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নভুক্ত দেশ), ব্রাজিল, তাইওয়ান, জাপান দক্ষিণ কোরিয়ার ইস্পাতের উৎপাদন কমেছে। যেখানে ভারত যুক্তরাষ্ট্রের মতো দেশগুলোয় বছরের শেষে উৎপাদন কমে এসেছে।

চীনের উৎপাদন বৃদ্ধির কারণে ব্যবহারিক ধাতুটির বৈশ্বিক বাজারে একচ্ছত্র আধিপত্য রয়েছে দেশটির, যা অন্যান্য দেশের বাজার হিস্যা বাড়ানোর পথে অন্যতম বাধা। আর্জাসের প্রতিবেদন অনুযায়ী, আন্তর্জাতিক বাজারে চাহিদার তুলনায় অতিরিক্ত ৪০ কোটি টন ইস্পাত উৎপাদনের জন্য চীনকে দায়ী করছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) যুক্তরাষ্ট্র।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন