রবি আজিয়াটাকে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) বকেয়া পাওনা দাবির ৮৬৭ কোটি টাকার মধ্যে ১৩৮ কোটি টাকা দিতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। রবিকে এ টাকা পাঁচ কিস্তিতে পরিশোধ করতে হবে। গতকাল বিচারপতি মামনুন রহমান ও বিচারপতি খিজির হায়াতের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। এ সময় আদালতে রবির পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী প্রবীর নিয়োগী, আইনজীবী তানজীব উল আলম ও ব্যারিস্টার কাজী এরশাদুল আলম এবং বিটিআরসির পক্ষে ছিলেন আইনজীবী খন্দকার রেজা-ই রাকিব।
আদেশ ঘোষণার পর দুই পক্ষের আইনজীবীরা সাংবাদিকদের কাছে তাদের প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন। বিটিআরসির আইনজীবী আদেশে সন্তুষ্টি প্রকাশ করলেও রবির আইনজীবী আপিল করার কথা জানান। এ সময় বিটিআরসির আইনজীবী খন্দকার রেজা-ই রাকিব বলেন, গ্রামীণফোনের কাছেও আমাদের পাওনা দাবি রয়েছে ১২ হাজার ৫০০ কোটি টাকা। এর আগে সুপ্রিম কোর্ট তাদের ২ হাজার কোটি টাকা পরিশোধের নির্দেশ দিয়েছিলেন। আর আজ (গতকাল) রবিকেও ১৩৮ কোটি টাকা দিতে বলেছেন হাইকোর্ট।
রবির আইনজীবী এরশাদুল আলম বলেন, আদালত আমাদের পাঁচ মাসে সমান পাঁচ কিস্তিতে ১৩৮ কোটি টাকা বিটিআরসিকে দিতে বলেছেন। ৩০ জানুয়ারি প্রথম কিস্তির তারিখ নির্ধারণ করেছেন। এ কিস্তি পরিশোধ সাপেক্ষে আদালত বিটিআরসির পাওনা দাবি আদায়ের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন। তবে যদি রবি কর্তৃপক্ষ সিদ্ধান্ত নেয়, তাহলে আমরা এ আদেশের বিরুদ্ধে আপিল করব।
প্রসঙ্গত, বিটিআরসি ২০১৯ সালের ৩১ জুলাই গ্রামীণফোনের কাছে নিরীক্ষা আপত্তির ১২ হাজার ৫৭৯ কোটি ৯৫ লাখ টাকা এবং রবির কাছে ৮৬৭ কোটি ২৩ লাখ টাকা পাওনা রয়েছে দাবি করে চিঠি দেয়। রবি সেই চিঠির বিষয়টি আমলে নিয়ে নিম্ন আদালতে টাইটেল স্যুট (মামলা) করে এবং মামলা নিষ্পত্তি হওয়ার আগ পর্যন্ত অর্থ আদায়ের ওপর অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা চেয়ে আবেদন করে। কিন্তু নিম্ন আদালত রবির অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞার আবেদন খারিজ করে দিলে তারা হাইকোর্টে আপিল করে।
