জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকিতে থাকা
দেশগুলোর জন্য এবারের কপ-২৫ সম্মেলন বেশ হতাশাজনক। স্পেনের মাদ্রিদে অনুষ্ঠিত কপ-২৫ সম্মেলন
দূষণকারী দেশগুলোর স্বার্থ রক্ষায় কাজ করছে। বাংলাদেশকে ক্লাইমেট ভালনারেবল
ফোরামের (সিভিএফ) মাধ্যমে পরবর্তী কপ সম্মেলনে নেতৃত্ব দেয়ার সুযোগ ও কৌশল গ্রহণ করতে
হবে। ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি সম্মেলন কক্ষে গতকাল ‘মাদ্রিদ জলবায়ু সম্মেলন এবং নাগরিক
সমাজের পর্যবেক্ষণ’ শীর্ষক এক সংবাদ সম্মেলনে ক্লাইমেট অ্যাডভোকেসি নেটওয়ার্কের ও নাগরিক
সমাজ সংগঠনের পক্ষ থেকে এ মতামত দেয়া হয়।
সংবাদ সম্মেলনে কপ-২৫ জলবায়ু
সম্মেলনের ফলাফল নিয়ে মূল প্রবদ্ধ উপস্থাপন করেন কোস্ট ট্রাস্টের উপপরিচালক সৈয়দ
আমিনুল হক।
তিনি বলেন, কপ-২৫ সম্মেলন
আলোচনা-সমঝোতার মাধ্যমে প্রত্যাশিত ফলাফল আনতে ব্যর্থ হয়েছে। এবারের জলবায়ু
সম্মেলনের
প্রতি স্বল্পোন্নত ও জলবায়ু বিপদাপন্ন দেশগুলোর আস্থা হ্রাস পেয়েছে। এ সম্মেলন মূলত দূষণকারী দেশগুলোর স্বার্থ রক্ষার কাজ করছে। এ অবস্থায় সরকারকে আগামী ডিসেম্বর ২০২০-এ অনুষ্ঠেয় জলবায়ু সম্মেলনে (কপ-২৬) সিভিএফের মাধ্যমে নেতৃত্ব দেয়ার কৌশল নিতে হবে। আমাদের প্রধানমন্ত্রী সিভিএফের সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন।
আমিনুল হক বলেন, অধিকাংশ গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে সম্মেলনের মাধ্যমে কোনো সিদ্ধান্তে আসা যায়নি। প্রধান দূষণকারী দেশগুলো কীভাবে ২০২০ সালের মধ্যে তাদের গ্রিন হাউজ গ্যাস নির্গমন হ্রাসের উচ্চাকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়ন করবে, সে পরিকল্পনা উত্থাপনে ব্যর্থ হয়েছে। ক্ষয়ক্ষতি ব্যবস্থাপনায় অর্থায়নের ব্যাপারে উন্নত দেশগুলো তাদের দেয়া প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করেছে। এ অপরাজনীতি করছে মূলত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, অস্ট্রেলিয়া ও ব্রাজিলের মতো ধনী দেশগুলো।
সিপিআরডির প্রধান নির্বাহী মো. শামসুদ্দোহা
বলেন, বর্ধিত গ্রিন হাউজ গ্যাস
নির্গমন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ এবং ওয়ারশ ইমপ্লিমেন্টেশন মেকানিজম পর্যালোচনা ও
পরিচালনা নীতির ক্ষেত্রে কোনো ছাড় দেয়নি। যুক্তরাজ্যের নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিদের
সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নের মাধ্যমে পরবর্তী কপ সম্মেলন আরো বেশি কার্যকর ও সফল করা
যেতে পারে।
কোস্ট ট্রাস্টের নির্বাহী পরিচালক
রেজাউল করিম চৌধুরীর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ সেন্টার ফর
অ্যাডভান্সড স্টাডিজের (বিসিএএস) নির্বাহী পরিচালক ড.
আতিক রহমান।