বরিশালে দিনভর বৃষ্টিতে চরম ভোগান্তি

বণিক বার্তা প্রতিনিধি বরিশাল

গতকাল দিনভর গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টিতে ভোগান্তিতে পড়েছে বরিশালের খেটে খাওয়া মানুষ। ভোর থেকে শুরু হওয়া এ বৃষ্টি সন্ধ্যা পর্যন্ত অব্যাহত ছিল। বৃষ্টির কারণে প্রয়োজন ছাড়া মানুষজন বাসা থেকে বের হয়নি। অন্যদিকে বৃষ্টির কারণে তাপমাত্রা কমে ঠাণ্ডার তীব্রতা আরো বেড়ে যায়। গতকাল বরিশালে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৫ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সদর উপজেলাসহ জেলার মেহেন্দীগঞ্জ, হিজলা, মুলাদী, উজিরপুর, বানারীপাড়া, বাবুগঞ্জ, বাকেরগঞ্জ, গৌরনদী ও আগৈলঝাড়া উপজেলায় দিনভর বৃষ্টি হয়। পৌষের মাঝামাঝি সময়ে এমন বৃষ্টি শীতের মাত্রা আরো বাড়িয়ে দিয়েছে। গতকাল এমনিতেই ছুটির দিন ছিল, তার ওপর বৃষ্টি! যে কারণে সকালে ঘর থেকে বের হওয়া মানুষের সংখ্যা ছিল খুবই কম। বিভাগীয় শহর বরিশাল নগরীর ব্যস্ততম সদর রোডে অন্যান্য দিনের চেয়ে খুবই কম ছিল সব ধরনের যানবাহনের সংখ্যা।

একাধিক ইজিবাইকচালক জানান, সকাল থেকে বৃষ্টির কারণে কোনো যাত্রীর দেখা নেই। পোর্ট রোড বাজারের সবজি বিক্রেতা বাবুল সিকদার জানান, সপ্তাহের অন্য শুক্রবার এমন সময় ক্রেতাদের ভিড়ে দম ফেলার সময় থাকে না। কিন্তু বৃষ্টির কারণে গতকাল সকাল থেকে কোনো ক্রেতার দেখা নেই। এছাড়া বৃষ্টির কারণে শীতও কিছুটা বেড়েছে।

এবার পৌষের শুরু থেকেই তীব্রভাবে জেঁকে বসেছিল শীত। তবে গত কয়েক দিন সূর্য ওঠায় শীত অনেকটাই কমেছিল। গতকাল সকালের বৃষ্টি এ পরিস্থিতি বদলে দিয়েছে। ফের বাড়তে শুরু করেছে শীতের তীব্রতা, যা সামনে আরো বাড়বে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্যানুযায়ী, চলতি মাসেই সারা দেশে দুটি তীব্র ও একটি মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ আসবে। ৩ জানুয়ারির পর থেকে দেশের তাপমাত্রা কমতে থাকবে। ৬ থেকে ১০ জানুয়ারির মধ্যে তীব্র শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাবে। মাসের মাঝামাঝিতে জেঁকে বসতে পারে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ। মাসের শেষ দিকে আবারো তীব্র শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এ সময় দেশের বিভিন্ন জেলা ও উপজেলায় কনকনে শীত অনুভূত হতে পারে। বিশেষ করে গ্রামাঞ্চলে শীতের প্রভাব বেশি থাকবে।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন