২০১৯ সালে নতুন তালিকাভুক্তি ব্যবসা বেড়েছে প্রায় সব কোম্পানির

মেহেদী হাসান সবুজ

২০১৮-১৯ হিসাব বছরে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়েছে নয়টি কোম্পানি। প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) মাধ্যমে কোম্পানিগুলো বাজার থেকে সংগ্রহ করেছে ৫৪০ কোটি টাকা। এসব কোম্পানির মধ্যে ব্যবসা বেড়েছে আটটি কোম্পানির; কমেছে একটির। কোম্পানিগুলোর মধ্যে রাজস্ব বৃদ্ধিতে শীর্ষে রয়েছে প্রকৌশল খাতের কোম্পানি রানার অটোমোবাইলস লিমিটেড ও কপারটেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড। কোম্পানি দুটির রাজস্ব আগের বছরের তুলনায় যথাক্রমে ২৬ দশমিক ৬৩ ও ২৪ দশমিক ৭৬ শতাংশ বেড়েছে। অন্যদিকে রাজস্ব কমেছে শুধু পোশাক খাতের কোম্পানি রিং শাইন টেক্সটাইলস লিমিটেডের। কোম্পানিটির রাজস্ব আগের বছরের তুলনায় ১ দশমিক ৭০ শতাংশ কমেছে।

গত বছরের ২১ মে পুঁজিবাজারে লেনদেন শুরু হওয়া রানার অটোমোবাইলসের সর্বশেষ হিসাব বছরে (২০১৮-১৯) রাজস্ব আয় হয়েছে ৫৫২ কোটি ৮৯ লাখ টাকা, যা ২০১৭-১৮ হিসাব বছরে ছিল ৪৩৬ কোটি ৬২ লাখ টাকা। আলোচ্য সময়ে কোম্পানিটির সম্মিলিত শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৫ টাকা ৭ পয়সা, যা আগের বছরের একই সময়ে ছিল ৪ টাকা ৯০ পয়সা। সমাপ্ত হিসাব বছরের জন্য শেয়ারহোল্ডারদের ১০ শতাংশ নগদ ও ৫ শতাংশ স্টক লভ্যাংশ দিয়েছে রানার অটোমোবাইলস।

গত বছরের ৫ আগস্ট পুঁজিবাজারে লেনদেন শুরু হয় কপারটেক ইন্ডাস্ট্রিজের। ২০১৮-১৯ হিসাব বছরে কোম্পানিটির রাজস্ব আয় হয়েছে ৬৬ কোটি ৬৯ লাখ, যা আগের হিসাব বছরে ছিল ৫২ কোটি ৬৬ লাখ। এ সময়ে কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ১ টাকা ১১ পয়সা, যা আগের বছরের একই সময়ে ছিল ২ টাকা ৬০ পয়সা। সর্বশেষ হিসাব বছরের জন্য শেয়ারহোল্ডারদের ৭ শতাংশ নগদ ও ৫ শতাংশ স্টক লভ্যাংশ দিয়েছে কপারটেক ইন্ডাস্ট্রিজ।

পুঁজিবাজারে জেনেক্স ইনফোসিসের লেনদেন শুরু হয় গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে। ২০১৮-১৯ হিসাব বছরে কোম্পানিটির রাজস্ব ১৪ দশমিক ৬২ শতাংশ বেড়ে ৯৪ কোটি ৩৩ লাখ টাকায় দাঁড়িয়েছে। আগের বছরে কোম্পানিটির রাজস্ব ছিল ৮২ কোটি ৩০ লাখ টাকা। সমাপ্ত হিসাব বছরে কোম্পানির ইপিএস হয়েছে ২ টাকা ৭১ পয়সা, যা আগের বছরের একই সময়ে ছিল ২ টাকা ২ পয়সা। গত হিসাব বছরের জন্য শেয়ারহোল্ডারদের ৫ শতাংশ নগদ ও ১৫ শতাংশ স্টক লভ্যাংশ দিয়েছে কোম্পানিটি।

গত বছরের এপ্রিলে পুঁজিবাজারে লেনদেন শুরু করে নিউ লাইন ক্লথিংস লিমিটেড। ২০১৮-১৯ হিসাব বছরে কোম্পানিটির রাজস্ব আগের বছরের তুলনায় ৫ দশমিক ২১ শতাংশ বেড়ে ২২৪ কোটি ৩৩ লাখ টাকায় দাঁড়িয়েছে। আগের হিসাব বছরে কোম্পানির রাজস্ব ছিল ২১৩ কোটি ২২ লাখ টাকা। সর্বশেষ হিসাব বছরের জন্য শেয়ারহোল্ডারদের ৩ শতাংশ নগদ ও ৭ শতাংশ স্টক লভ্যাংশ দিয়েছে কোম্পানিটি। আলোচ্য সময়ে কোম্পানির ইপিএস হয়েছে ১ টাকা ১২ পয়সা, যা আগের বছরের একই সময়ে ছিল ১ টাকা ৯০ পয়সা।

পুঁজিবাজারে সি পার্ল বিচ রিসোর্টের লেনদেন শুরু হয় গত বছরে জুলাইয়ে। ২০১৮-১৯ হিসাব বছরে কোম্পানিটির রাজস্ব আগের বছরের তুলনায় ৯ দশমিক ৩৬ শতাংশ বেড়ে ৫১ কোটি ২৮ লাখ টাকায় দাঁড়িয়েছে। ২০১৭-১৮ হিসাব বছরে কোম্পানিটির রাজস্ব ছিল ৪৬ কোটি ৮৯ লাখ টাকা। সর্বশেষ হিসাব বছরের জন্য শেয়ারহোল্ডারদের ৫ শতাংশ স্টক লভ্যাংশ দিয়েছে সি পার্ল। আলোচ্য সময়ে কোম্পানির ইপিএস হয়েছে ৪৪ পয়সা, যা আগের বছরের একই সময়ে ছিল ৬৭ পয়সা।

গত বছরের শেষ দিকে পুঁজিবাজারে আসে রিং শাইন টেক্সটাইলস। ১২ ডিসেম্বর কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন শুরু হয়। সর্বশেষ হিসাব বছরে কোম্পানিটির রাজস্ব আয় হয়েছে প্রায় ৯৮২ কোটি টাকা। আগের হিসাব বছরে রাজস্ব ছিল ৯৯৯ কোটি টাকা। এ হিসাবে ২০১৮-১৯ হিসাব বছরে কোম্পানিটির রাজস্ব কমেছে ১ দশমিক ৭ শতাংশ। গত হিসাব বছরে প্রতিষ্ঠানটির ইপিএস হয়েছে ১ টাকা ৭২ পয়সা, আগের হিসাব বছরে যা ছিল ১ টাকা ৯৯ পয়সা। আলোচ্য সময়ের জন্য শেয়ারহোল্ডারদের ১৫ শতাংশ স্টক লভ্যাংশ দিয়েছে কোম্পানিটি।

এসকোয়্যার নিটের শেয়ার লেনদেন শুরু হয় গত বছরের ৯ এপ্রিল। ২০১৮-১৯ হিসাব বছরে কোম্পানিটির রাজস্ব আয় হয়েছে ৫৯১ কোটি ৯৬ লাখ টাকা, আগের হিসাব বছর যা ছিল ৪৮৪ কোটি ১১ লাখ টাকা। এ হিসাবে গত হিসাব বছরে কোম্পানিটির রাজস্ব বেড়েছে ২২ দশমিক ২৮ শতাংশ। সমাপ্ত হিসাব বছরে প্রতিষ্ঠানটির ইপিএস হয়েছে ৩ টাকা ৩৭ পয়সা, আগের হিসাব বছরে যা ছিল ৩ টাকা ৪৪ পয়সা। আলোচ্য সময়ের জন্য শেয়ারহোল্ডারদের ১৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে এসকোয়্যার নিট।

এসএস স্টিলের শেয়ার লেনদেন শুরু হয় গত বছরের ১৭ জানুয়ারি। সর্বশেষ হিসাব বছরে প্রতিষ্ঠানটির রাজস্ব আয় হয়েছে ৪১৫ কোটি টাকা, যা আগের হিসাব বছরের চেয়ে ১৫ দশমিক ৭১ শতাংশ বেশি। ২০১৭-১৮ হিসাব বছরে কোম্পানিটির রাজস্ব ছিল ৩৫৮ কোটি ৬৬ লাখ টাকা। গত হিসাব বছরে এসএস স্টিলের ইপিএস হয়েছে ২ টাকা ২১ পয়সা, আগের হিসাব বছরে যা ছিল ১ টাকা ৩৯ পয়সা। আলোচ্য সময়ের জন্য শেয়ারহোল্ডারদের ১৫ শতাংশ স্টক লভ্যাংশ দিয়েছে কোম্পানিটি।

গত বছরের ১৩ জুন লেনদেন শুরু হওয়া সিলকো ফার্মার গত হিসাব বছরে রাজস্ব আয় হয়েছে ৯১ কোটি ৯০ লাখ টাকা, আগের হিসাব বছরে যা ছিল ৯১ কোটি ৭৭ লাখ টাকা। এ হিসাবে সমাপ্ত হিসাব বছরে কোম্পানিটির রাজস্ব বেড়েছে ১৩ লাখ টাকা বা দশমিক ১৪ শতাংশ। ২০১৮-১৯ হিসাব বছরে কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ২ টাকা ২৮ পয়সা, আগের হিসাব বছরে যা ছিল ১ টাকা ৬৪ পয়সা। সমাপ্ত হিসাব বছরের জন্য শেয়ারহোল্ডারদের মোট ১২ শতাংশ লভ্যাংশ দিয়েছে সিলকো ফার্মা। এর মধ্যে ২ শতাংশ নগদ ও বাকি ১০ শতাংশ স্টক লভ্যাংশ।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন