এশিয়ার বাজারে বাড়ছে কোকোর চাহিদা

বণিক বার্তা ডেস্ক

এশীয় ও ওশেনিয়ার বাজারে কোকোর চাহিদা বাড়ছে। যার ফলে এ অঞ্চলের দেশগুলোয় কোকো বিনের প্রক্রিয়াকরণও বাড়ছে। অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া চলতি উৎপাদন মৌসুমে এশিয়া ও ওশেনিয়ার বাজারে কোকো বিনের প্রক্রিয়াকরণ গত মৌসুমের তুলনায় ১৪ দশমিক ৩ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে ১২ লাখ ১ হাজার টনে উন্নীত হতে পারে বলে জানিয়েছে ইন্টারন্যাশনাল কোকো অর্গানাইজেশন (আইসিসিও) খবর ঘানা ওয়েব।

আইসিসিও তথ্য অনুযায়ী, ২০১৯-২০ মৌসুমে এশিয়া ও ওশেনিয়ার দেশগুলোয় চকোলেটের মূল উপাদান কোকোর চাহিদা বৃদ্ধি পাবে। যার প্রভাব পড়বে শীর্ষ কোকো উৎপাদক দেশ আইভরি কোস্ট ও ঘানার উৎপাদনে। কারণ নতুন মৌসুমে দেশ দুটি থেকে কোকোর চাহিদার তুলনায় সরবরাহ কমেছে।

আইসিসিও তথ্য বলছে, ২০১৮-১৯ মৌসুমে বিশ্বব্যাপী কোকো প্রক্রিয়াকরণ (কোকো বিন থেকে পাউডার তৈরি) বেড়েছে ৪ দশমিক ৬ শতাংশ। সবমিলিয়ে গত মৌসুমে বিশ্বব্যাপী ৪৮ লাখ ৭ হাজার টন কোকো প্রক্রিয়াকরণ করা হয়েছে, যা তার আগের মৌসুমের তুলনায় ২ লাখ ১১ হাজার টন বেশি।

প্রতিবেদন অনুযায়ী, চলতি মৌসুমে আফ্রিকার বাজারে কোকো বিনের প্রক্রিয়াকরণ ২ দশমিক ৯ শতাংশ বেড়ে ৯ লাখ ৯১ হাজার টনে দাঁড়াতে পারে। আর আমেরিকার দেশগুলোয় প্রক্রিয়াকরণ ২ দশমিক ৮ শতাংশ বেড়ে দাঁড়াতে পারে ৮ লাখ ৯৭ হাজার টনে। এছাড়া ইউরোপের দেশগুলোয় প্রক্রিয়াকরণ দশমিক ৫ শতাংশ বেড়ে ১৭ লাখ ১৯ হাজার টনে পৌঁছাতে পারে বলে মনে করছে আইসিসিও।

এদিকে চলতি মৌসুমের অক্টোবর ও নভেম্বরে শীর্ষ কোকো উৎপাদক আইভরি কোস্ট ও ঘানা থেকে পণ্যটির সরবরাহও গত মৌসুমের তুলনায় কমে এসেছে। আর ডিসেম্বর ১ তারিখ পর্যন্ত দেশটি থেকে সবমিলিয়ে ৬ লাখ ৯৪ হাজার টন কোকো বিন সরবরাহ করা হয়েছে, যা ২০১৮-১৯ মৌসুমের তুলনায় ২ শতাংশ কম।

উল্লেখ্য, বৈশ্বিক কোকোর প্রায় দুই-তৃতীয়াংশ উৎপাদন করে আইভরি কোস্ট ও ঘানা। কিন্তু চলতি বছরের জুলাইয়ে আফ্রিকার দেশ দুটি কৃষকের আয় বাড়াতে কোকো বিক্রিতে কোকোর লিভিং ইনকাম ডিফারেন্টিয়াল (এলআইডি) চালু করে। এর ফলে ২০২০-২১ মৌসুমে দেশ দুটি থেকে কোকো বিন কিনতে হলে ক্রেতাপ্রতিষ্ঠানকে প্রতি টনে ৪০০ ডলার অতিরিক্ত ব্যয় করতে হবে।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন