ঢাকা উত্তরে ছয়, দক্ষিণে সাত প্রার্থীর মনোনয়ন বৈধ

উত্তরে জাপার প্রার্থী অবৈধ

নিজস্ব প্রতিবেদক

ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে মেয়র পদে ১৪ প্রার্থীর মধ্যে ১৩ জনের মনোনয়নপত্রকে বৈধ বলে ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি) এর মধ্যে ঢাকা উত্তরে বৈধ মেয়র প্রার্থী ছয়জন। ঢাকা দক্ষিণে মেয়র পদে নির্বাচনের জন্য মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা হয়েছে সাতজনের। দুই সিটি মিলিয়ে অবৈধ ঘোষণা হয়েছে শুধু ঢাকা উত্তরে জাতীয় পার্টির প্রার্থী কামরুল ইসলামের মনোনয়নপত্র। নির্বাচনে অংশ নিতে মনোনয়নপত্র জমা দেয়া ১৪ জন প্রার্থীর মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই শেষে গতকাল এ ঘোষণা দেয় কমিশন।

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) রিটার্নিং কর্মকর্তা আবুল কাশেম আগারগাঁও এলাকার স্থানীয় সরকার মিলনায়তনে মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই শেষে আওয়ামী লীগের আতিকুল ইসলাম ও বিএনপির তাবিথ আউয়ালসহ ছয় মেয়র প্রার্থীকে বৈধ বলে ঘোষণা করেন। অবৈধ ঘোষণা করা হয় জাতীয় পার্টির কামরুল ইসলামের মনোনয়নপত্র।

ডিএনসিসির বৈধ মেয়র প্রার্থীরা হলেন আওয়ামী লীগের আতিকুল ইসলাম, বিএনপির তাবিথ আউয়াল, সিপিবির আহমদ সাজেদুল হক, পিডিপির শাহিন খান, ইসলামী আন্দোলনের ফজলে বারী মাসুদ ও এনপিপির আনিসুর রহমান দেওয়ান।

অন্যদিকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) রিটার্নিং কর্মকর্তা আবদুল বাতেন নগরীর গোপীবাগ এলাকায় বীর মুক্তিযোদ্ধা সাদেক হোসেন খোকা কমিউনিটি সেন্টারে মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই শেষে আওয়ামী লীগের শেখ ফজলে নূর তাপস ও বিএনপির ইশরাক হোসেনসহ সাত মেয়র প্রার্থীকে বৈধ ঘোষণা করেন।

ডিএসসিসির বৈধ মেয়র প্রার্থীরা হলেন আওয়ামী লীগের শেখ ফজলে নূর তাপস, বিএনপির ইশরাক হোসেন, জাতীয় পার্টির মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন, ইসলামী আন্দোলনের মাওলানা আবদুর রহমান, এনপিপির বাহরানে সুলতান বাহার, বাংলাদেশ কংগ্রেসের আক্তারুজ্জামান ওরফে আয়াতুল্লাহ ও গণফ্রন্টের আবদুস সামাদ সুজন।

এর আগে গত ২২ ডিসেম্বর ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের তফসিল ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন। ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ৯ জানুয়ারি। বুধবার মনোনয়নপত্র জমা দেয়ার শেষ দিন দুই সিটি নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার জন্য ১৪ জন প্রার্থী তাদের মনোনয়নপত্র জমা দেন। পাশাপাশি সাধারণ কাউন্সিলর ও সংরক্ষিত আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার জন্য মনোনয়নপত্র জমা দেন এক হাজারেরও বেশি প্রার্থী।

প্রার্থিতা বাছাইয়ের দিন দুই সিটির দুই রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে ভিড় করেন মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীরা। আসন্ন নির্বাচন নিয়ে জানতে চাইলে ঢাকা দক্ষিণের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের বিএনপি সমর্থিত কাউন্সিলর প্রার্থী মো. শামসুল হুদা বলেন, ইভিএম নিয়ে আমাদের আশঙ্কা আগেও ছিল, এখনো আছে। এতে জনগণের ভোটাধিকারের সত্যিকার প্রতিফলন ঘটবে কিনা, তা এখনো নিশ্চিত নই। তবু আন্দোলনের অংশ হিসেবে এ নির্বাচনে অংশ নিচ্ছি। সুষ্ঠু ভোট হলে আমরা বিজয়ী হব।

তবে ইভিএমে অসুবিধার কিছু দেখছেন না ক্ষমতাসীন দল সমর্থিত ২৬ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর হাসিবুর রহমান মানিক। তার ভাষ্যমতে, পৃথিবী আধুনিক হচ্ছে। ভোটগ্রহণ পদ্ধতিও আধুনিক হচ্ছে। এতে সমস্যার কিছু নেই।

ইসি সূত্রে জানা গেছে, এবারের নির্বাচনে দুই সিটিতেই ব্যালট পেপারের পরিবর্তে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহার করা হবে। এসব ইভিএমের সুরক্ষার জন্য প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে দুজন করে সেনাসদস্য মোতায়েন করা হবে। এবারের নির্বাচনে দুই সিটি মিলিয়ে প্রায় ৫৮ লাখ নাগরিক তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেন। এর মধ্যে উত্তরে ভোটার রয়েছেন ৩০ লাখ ৩৫ হাজার ৬২১ জন। এছাড়া দক্ষিণে ভোটার সংখ্যা ২৭ লাখ ৬৭ হাজার ৪৮৮। ৫৪টি ওয়ার্ড নিয়ে গঠিত ডিএনসিসির সম্ভাব্য ভোটকেন্দ্রের সংখ্যা ১ হাজার ৩৪৯টি। অন্যদিকে ৭৫টি ওয়ার্ড নিয়ে গঠিত ডিএসসিসির সম্ভাব্য ভোটকেন্দ্রের সংখ্যা ১ হাজার ১২৪টি।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন