ই-কমার্স বুমিংয়ে যুক্তরাষ্ট্রে পণ্য ফেরতও বেড়েছে

বণিক বার্তা ডেস্ক

আজ ন্যাশনাল রিটার্নস ডেতে মার্কিন রিটেইলারদের হাতে ১৯ লাখ গিফট অন্যান্য আইটেম ফেরতের আশা করছে ইউনাইটেড পার্সেল সার্ভিস। -কমার্স বুমিংয়ের ফলে অনলাইনে পণ্য ক্রয়-বিক্রয় যেমন বেড়েছে, তেমনি পণ্য ফেরত দেয়ার পরিমাণও বেড়েছে। খবর রয়টার্স।

হলিডে মৌসুমের পণ্য ফেরতের ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রে সবচেয়ে ব্যস্ততম দিন হচ্ছে জানুয়ারি। এবারের ন্যাশনাল রিটার্নস ডেতে পণ্য ফেরত বছরওয়ারি ২৬ শতাংশ বাড়তে পারে। ক্রয়াদেশের সময় ফ্রি শিপিং অন্যান্য সুবিধার কারণে বিশ্বের অন্যান্য প্রান্তের চেয়ে বেশি পণ্য ফেরত পাঠায় মার্কিন ক্রেতারা। প্রতি বছর বিক্রীত পণ্যের ১০ শতাংশ ফেরতে ৩৬ হাজার ৯০০ কোটি ডলার খোয়ায় রিটেইলার কোম্পানিগুলো। এপ্রিস রিটেইল অ্যান্ড ন্যাশনাল ফেডারেশনের ২০১৮ সালের প্রতিবেদনে তথ্য উঠে এসেছে।

সবচেয়ে বেশি পণ্য ফেরত আসে পোশাক খাতে। বিভিন্ন ব্র্যান্ডের মধ্যে অসঙ্গতির কারণে কিছু কিছু ক্যাটাগরিতে ৫০ শতাংশ পণ্য ফেরত এসেছে বলে জানান আইএইচএল গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা প্রেসিডেন্ট গ্রেগ বাজেক। তা রিটেইলারদের বড় আকারের লোকসান উপহার দিয়েছে। রিটেইল খাতে বিশাল আকারের পণ্য ফেরতে বৈশ্বিক লোকসান ট্রিলিয়ন ডলার ছাড়িয়েছে বলে মনে করেন গবেষণা পরামর্শক প্রতিষ্ঠানটির প্রধান বাজেক। ২০১৫ সালে পণ্য ফেরতের কারণে যেখানে লোকসান হয়েছিল ৬০ হাজার কোটি ডলার।

নতুন ধারার কিছু স্টার্ট আপ রকম পণ্য ফেরতের প্রভাব কিছুটা কমানোর চেষ্টা করছে। শিপিং খরচ গ্রাহক সেবা কলের ব্যয় কমানোর মাধ্যমে পণ্য ফেরতসংক্রান্ত ব্যয় ৩০ শতাংশ হ্রাসের প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেছে লস অ্যাঞ্জেলেসভিত্তিক স্টার্ট আপ হ্যাপি রিটার্নস।

যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন রিটেইল স্টোর শপিং মলে ৭০০টি রিটার্ন বার স্থাপন করেছে তারা, যেখানে গ্রাহকরা সহজে পণ্য ফেরত দিয়ে রিফান্ড বা নতুন পণ্য নিতে পারে। প্রতিটি পণ্য প্রক্রিয়াকরণে রিটেইলাররা কোম্পানি থেকে একটি নির্ধারিত ফি দাবি করতে পারবে। হ্যাপি রিটার্নসের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) ডেভিড সোবি বলেন, বিনা খরচে আপনার পণ্য ফেরতের অপশন থাকা উচিত। এটা যে শুধু মেইল খরচ কেউ এটা বলছে না।

অ্যামাজন ডটকমও নিজস্ব শোরুমে বা কোহলসের ডিপার্টমেন্ট স্টোরে পণ্য ফেরত দিতে গ্রাহকদের উৎসাহিত করছেযেখানে ফ্রি শিপিংয়ের মাধ্যমে পণ্য ক্রয় বা বিনিময় করা যায়।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন