রিফাত শরীফ হত্যায় মিন্নিসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে চার্জগঠন

বরগুনায় আলোচিত রিফাত শরীফ হত্যা মামলায় স্ত্রী আয়শা সিদ্দিকা মিন্নিসহ প্রাপ্তবয়স্ক ১০ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ (চার্জ) গঠন করেছেন আদালত। মামলাটির প্রথম সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য আগামী ৮ জানুয়ারি তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে।

আজ বুধবার বরগুনার জেলা ও দায়রা জজ মো. আছাদুজ্জামান অভিযোগপত্রের শুনানি শেষে তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন। 

গেল ২৬ জুন বরগুনা জেলা শহরের কলেজ রোডে প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যা করা হয় রিফাতকে। ওই ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে দেশজুড়ে ব্যাপক সমালোচনা হয়। ঘটনায় রিফাতের বাবা দুলাল শরীফ বাদী হয়ে ১২ জনকে আসামি করে বরগুনা থানায় হত্যা মামলা করেন। ২ জুলাই মামলার প্রধান সন্দেহভাজন সাব্বির আহম্মেদ ওরফে নয়ন বন্ড পুলিশের সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে নিহত হন।

মামলায় মিন্নি ১ নম্বর সাক্ষী ছিলেন। তবে পরে রিফাতের বাবা পরে হত্যাকাণ্ডে পুত্রবধূর জড়িত থাকার অভিযোগ তুললে তাকে গ্রেফতার দেখায় পুলিশ। পরে মিন্নি হাইকোর্ট থেকে শর্তসাপেক্ষে জামিন নিয়ে বাবার বাড়িতে আছেন।

গত ১ সেপ্টেম্বর রিফাত শরীফ হত্যা মামলায় রিফাতের স্ত্রী আয়শা সিদ্দিকা মিন্নিসহ ২৪ জনের বিরুদ্ধে বরগুনার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে দুই ভাগে বিভক্ত অভিযোগপত্র (চার্জশিট) দেয় পুলিশ। একই সঙ্গে রিফাত হত্যা মামলার এক নম্বর আসামি নয়ন বন্ড বন্দুকযুদ্ধে নিহত হওয়ায় তাকে মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। উল্লেখ্য, মামলার ১৪ অপ্রাপ্তবয়স্ক আসামি যশোরে কিশোর সংশোধনাগারে আছে। শিশু আদালতে তাদের বিচার হবে।

যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়েছে তারা হলেন- রাকিবুল হাসান রিফাত ফরাজি (২৩), আল কাইউম ওরফে রাব্বি আকন (২১), মোহাইমিনুল ইসলাম সিফাত (১৯), রেজওয়ান আলী খান হৃদয় ওরফে টিকটক হৃদয় (২২), মো. হাসান (১৯), মো. মুসা (২২), আয়শা সিদ্দিকা মিন্নি (১৯), রাফিউল ইসলাম রাব্বি (২০), মো. সাগর (১৯) ও কামরুল ইসলাম সাইমুন (২১)।

এই মামলায় মো. মুসা এখনো পলাতক। আর জামিনে থাকা মিন্নি ছাড়া বাকী প্রাপ্তবয়স্ক আট আসামিকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করে পুলিশ। এছাড়াও বাবার সঙ্গে আদালতে হাজির হন এ আয়শা সিদ্দিকা মিন্নিও। পরে আসামিদের উপস্থিতিতে তাদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ পড়ে শোনানো হয়। অভিযোগ গঠন শেষে কারাগারে থাকা আট আসামিকে আবারও কারাগারে পাঠানো হয়।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন