নিশানের বহিষ্কৃত সাবেক চেয়ারম্যান কার্লোস গোন সোমবার জাপান থেকে পালিয়ে লেবাননে আশ্রয় নিয়েছেন। বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে জাপান থেকে তার প্রস্থান নিয়ে শোরগোল ওঠার পর লেবাননে যাওয়ার বিষয়টি নিজেই নিশ্চিত করেন গোন। কোম্পানির অর্থের অপব্যবহার নিয়ে নানা অভিযোগ ওঠায় কঠোর নজরদারিতে থাকা নিশানের সাবেক এ চেয়ারম্যানের জাপান ত্যাগ নিয়ে দেখা দিয়েছে নানা প্রশ্ন। খবর রয়টার্স।
মাত্র কয়েক মাস পরই আনীত অভিযোগের ভিত্তিতে জাপানের আদালতে বিচারের মুখোমুখি হওয়ার কথা গোনের। এ অবস্থায় আকস্মিকভাবে তার পলায়ন তাকে নিয়ে গাড়ি শিল্পে যেসব মিথ রয়েছে, সেগুলো আরো শক্তিশালী হচ্ছে। বিশ্বের গাড়ি শিল্পকে ভয়াবহভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করা, নিশানের পার্টনার রেনোকে নানাভাবে বিপদে ফেলা ও জাপানের বিচার ব্যবস্থা নিয়ে খোলামেলা মন্তব্য করাসহ বিভিন্ন মিথ রয়েছে তাকে ঘিরে।
গতকাল সংক্ষিপ্ত এক বিবৃতিতে গোন বলেন, আমি এখন লেবাননে। জাপানের নির্মম বিচার ব্যবস্থার মুখোমুখি হওয়ার জন্য আমি আরো দীর্ঘদিন সেখানে বন্দিদশায় বা কঠোর নজরদারিতে থাকতে চাইনি। জাপানের আদালত বিভিন্ন দিক আমলে না নিয়ে খেয়ালখুশি মতো অপরাধী সাব্যস্ত করেন। সেখানকার আদালতের বৈষম্য ভয়ংকর। জাপানে মানবাধিকার পদদলিত হয় বলেও জানান ৬৫ বছর বয়সী গোন।
তিনি বলেন, আমি বিচারের ভয়ে জাপান থেকে পালিয়ে আসিনি। বরং অবিচার ও রাজনৈতিক নিপীড়ন থেকে বাঁচতে জাপান ছেড়েছি। গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলার জন্য আমি এখন সম্পূর্ণ প্রস্তুত। এখন আমার কোনো চাপ নেই। আগামী সপ্তাহ থেকেই গণমাধ্যমের সঙ্গে আমি নিয়মিত কথা বলা শুরু করব।
এদিকে গোনের জাপান ত্যাগ সম্পর্কে কোনো কিছু জানাতে পারেননি জাপানস্থ তার অ্যাটর্নি বা টোকিও প্রসিকিউটর অফিসের কর্মকর্তারা। অন্যদিকে এ সম্পর্কে মুখ খুলতে সম্মত হননি নিশানের কোনো কর্মকর্তা।
ফ্রান্স, ব্রাজিল ও লেবাননের নাগরিকত্বধারী গোন কীভাবে জাপান ছেড়েছেন এ সম্পর্কে তাত্ক্ষণিকাভাবে কিছু জানা যায়নি। তবে জামিনে মুক্তি পাওয়ার পর থেকে তিনি কঠোর নজরদারির মধ্যে রয়েছেন বলে জানিয়েছিল কর্তৃপক্ষ।