দুই দলই আছে তলানিতে, নানা ধরনের অস্থিরতাও ভর করেছিল দলে। স্বস্তি ফেরাতে প্রয়োজন ছিল একটি জয়। সিলেট থান্ডারকে হারিয়ে সে জয়টা আদায় করে নিয়েছে রংপুর রেঞ্জার্স। সিলেটকে মাত্র ১৩৩ রানে থামিয়ে ৭ উইকেট ও ১৬ বল হাতে রেখে জয় নিশ্চিত করেছে দলটি। এটি সপ্তম ম্যাচে রংপুরের দ্বিতীয় জয়। অন্যদিকে অষ্টম ম্যাচে সিলেটের সপ্তম পরাজয়। এ হারে এখন খাদের কিনারে গিয়ে দাঁড়িয়েছে সিলেট।
ছোট লক্ষ্য তাড়ায় শুরুতেই উইকেট হারায় রংপুর। দ্বিতীয় ওভারেই রংপুর অধিনায়ক শেন ওয়াটসনকে বোল্ড করে দেন ইবাদত হোসেন। ৬ বলে মাত্র ১ রান করেন ওয়াটসন। তবে অধিনায়ককে হারিয়েও বিচলিত হয়নি রংপুর। মোহাম্মদ নাঈম শেখ ও ক্যামেরুন ডেলপোর্টের ব্যাটে এগিয়ে যেতে থাকে জয়ের দিকে। বিশেষ করে ডেলপোর্ট ছিলেন রীতিমতো বিধ্বংসী। একের পর বল সীমানাছাড়া করছিলেন তিনি। তাকে অবশ্য আরেক প্রান্তে ভালোই সঙ্গ দিচ্ছিলেন নাঈম। এ দুজন মিলে দলকে নিয়ে যান ১০৪ রানে। এরপর ডেলপোর্টকে বিদায় করেন নাভিন উল হক। ফেরার আগে ২৮ বলে ৬ চার ও ৫ ছক্কায় ৬৩ রান করেন ডেলপোর্ট। এরপর নাঈমের সঙ্গে জুটি গড়েন গ্রেগরি। তবে ৪ রান করেই আউট হন গ্রেগরি। তাকেও ফেরান নাভিন। এরপর অবশ্য দলকে আর কোনো বিপদে পড়তে না দিয়ে জয় নিশ্চিত করেন নাঈম ও নবি। ৫০ বলে ৩৮ রান করে নাঈম ও ১২ বলে ১৮ রান করে অপরাজিত থাকেন নবি।
এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নামে সিলেট। তবে শুরুটা একেবারেই ভালো ছিল না সিলেটের। ইনিংসের দ্বিতীয় বলেই কোনো রান যোগ হওয়ার আগে আরাফাত সানি ফিরিয়ে দেন আন্দ্রে ফ্লেচারকে। বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি অন্য ওপেনার জনসন চার্লসও। দলীয় ১৬ রানে তাকে আউট করেন মুকিদুল ইসলাম। মাত্র ৯ রান করেন চার্লস। এরপর জুটি গড়ে দলকে পথ দেখান মোহাম্মদ মিঠুন ও মোসাদ্দেক হোসেন। এ জুটি গিয়ে থামে দলীয় ৭৩ রানে। কিছুটা শ্লথ গতিতে এগোতে থাকা মোসাদ্দেক ফিরে যান রান আউটের ফাঁদে পড়ে। ২৩ বলে ১৫ রান করা মোসাদ্দেক সেসঙ্গে চোটেও পড়েন। পরে জানা গেছে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে সিলেট অধিনায়ককে। অন্যদিকে এ সময়ের মাঝে শ্লথ হয়ে যায় সিলেটের রানরেটও। শেরফানে রাদারফোর্ডও টিকতে পারেননি বেশিক্ষণ। তাকে ফিরিয়ে রংপুরকে আরেকটি সাফল্য