ওয়ার্ল্ড টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের অংশ হিসেবেই ২০২৩ সাল থেকে চারদিনের টেস্ট চালু করতে পারে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি) এবং নতুন এ নিয়ম আইসিসির বোর্ডে পাস হতে পারে ২০২০ সালে।
ক্রিকেটের ব্যস্ত সূচিতে দলগুলোর ওপর চাপ কমানো নিয়ে যখন বিস্তর আলোচনা-গুঞ্জন চলছে, তখনই চারদিনের টেস্ট নিয়ে তোড়জোড়। যদিও ক্রিকেটের সবচেয়ে পুরনো ও ঐতিহ্যবাহী সংস্করণের এ ক্রিকেট ম্যাচ চারদিনের করার বিপক্ষে অনেক ক্রিকেটার। ক্রিকেটারদের আন্তর্জাতিক সংগঠন এ নিয়ে সোচ্চারও হতে পারে। বিশেষ করে ফ্র্যাঞ্চাইজিভিত্তিক টি২০ লিগগুলোর পথ মসৃণ করতেই এমনটি করা হচ্ছে বলে সমালোচনা রয়েছে।
ক্রিকেটারদের আন্তর্জাতিক সংগঠন ফিকার প্রধান টনি আইরিশ এ নিয়ে বলেন, ‘চারদিনের টেস্টে দুটি দিক থাকতে পারে— একটি হলো ক্রিকেটীয়, অন্যটি সূচিজনিত। এটি সূচির ওপর থেকে চাপ কমিয়ে দিতে পারে, কিন্তু আমাদের উদ্বেগের জায়গা হলো, বর্তমানে অনানুষ্ঠানিকভাবে যেভাবে ক্রিকেটের সূচি চলছে, তাতে খালি জায়গায় অনায়াসেই আপনি আরো ক্রিকেট যোগ করতে পারেন। এটি (চারদিনের টেস্ট) চালু করতে চাইলে পাশাপাশি আপনাকে সুসংগত কাঠামোও রাখতে হবে। দুর্ভাগ্যজনকভাবেই আইসিসিতে এমন ধরনের পরিবর্তনের ইতিহাস আছে, যা কোনো কাঠামো না মেনেই করা হয়েছে। আমাদের কথা হলো, শুধু একটা ধারণা হিসেবে চালু না করে বরং এটি নিয়ে আরো অনেক কাজ করার প্রয়োজন রয়েছে।’
যদিও এরই মধ্যে সীমিত আকারে চারদিনের টেস্ট হচ্ছে। দক্ষিণ আফ্রিকা ও জিম্বাবুয়ে চারদিনের টেস্ট খেলেছে, তেমনি এ বছরের শুরুর দিকে চারদিনের টেস্ট খেলেছে ইংল্যান্ড ও টেস্ট পরিবারের নতুন সদস্য আয়ারল্যান্ড। আগামী গ্রীষ্মে আফগানিস্তানের সঙ্গে চারদিনের টেস্ট খেলতে পারে অস্ট্রেলিয়া। ক্রিকইনফো