দেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করেছেন

মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম

ফজলে হাসান আবেদ, যিনি স্যার উপাধি পেয়েছেন, কাজেই স্যার ফজলে হাসান আবেদ হিসেবেই তার শেষ জীবনের পরিচিতি বেশি, তিনি একজন অনন্য ব্যক্তিত্ব। তার জীবনের আদর্শ আমাদের দেশে তো বটে, সারা বিশ্বের মানুষের জন্য অনুকরণীয়। ব্যক্তিগতভাবে তার সঙ্গে আমার দেখা হয় যখন আমি জাতিসংঘ থেকে বাংলাদেশে ফিরে আসি। ২০০২-২০০৩ সালের দিকে তার সঙ্গে আমার পরিচয়। পরবর্তীকালে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা থাকাকালে কয়েকবার তার সঙ্গে সাক্ষাত্ হয়েছে। এছাড়া কোনো কোনো সময়ে সভা-সেমিনারে আবেদ ভাইয়ের সঙ্গে দেখা হয়েছে, কথা হয়েছে। আমার থেকে বয়সে সামান্য বড় বলে আমি তাকে ভাই বলেই সম্বোধন করতাম। দেশের সার্বিক অর্থনৈতিক পরিস্থিতি বিশেষ করে দারিদ্র্য দূরীকরণে করণীয়সহ নানা বিষয় নিয়ে তার সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। সন্দেহ নেই, দেশের আর দশজন শিক্ষিত সম্ভ্রান্ত মানুষের মতো জীবনযাপন করলে তার মান আরো উঁচু পর্যায়ে থাকত। তিনি স্বাধীনতার আগে পরে কিছুদিন একটি বিদেশী প্রতিষ্ঠানে কাজ করেছেন। ভালো বেতনও পেতেন। সে সময়েই লন্ডনে একটি ফ্ল্যাট কিনেছিলেন, যা মুক্তিযুদ্ধের সময় বন্ধক রেখে মুক্তিযোদ্ধাদের অর্থ দিয়েছেন। আবেদ ভাইয়ের যদি একটি স্বাচ্ছন্দ্যপূর্ণ জীবনযাপন উদ্দেশ্য থাকত, তাহলে তিনি চাইলে সহজে ধরনের জীবনযাপন করতে পারতেন। কিন্তু তা তিনি করেননি। তিনি ছিলেন অত্যন্ত সচেতন একজন নাগরিক। দুস্থ দারিদ্র্য মানুষের পাশে দাঁড়ানোর জন্য তার ছিল অনাবিল আগ্রহ। যার ফলে তিনি বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর লন্ডনে থাকা ফ্ল্যাটটি বিক্রি করে দিয়ে বাংলাদেশের সিলেটে দারিদ্র্য বিমোচনের কাজ শুরু করেন।

আবেদ ভাইয়ের চরিত্রের নানা দিক নিয়ে বিশ্লেষণ করা যেতে পারে। তার মধ্যে একটি বিশেষ গুণ হলো প্রতিষ্ঠান তৈরি। তিনি স্বল্প সময়ে যত সামাজিক প্রতিষ্ঠান তৈরি করেছেন, তা সময়ে বিরল। ব্র্যাক অবশ্যই সারা বিশ্বের সর্ববৃহত্ এনজিও হিসেবে পরিচিত। এছাড়া তিনি প্রতিষ্ঠা করেছেন ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়, ব্র্যাক ব্যাংক, আড়ং, ডেল্টা ব্র্র্যাক হাউজিং। এতগুলো সফল প্রতিষ্ঠান খুব কম মানুষই গড়ে তুলতে পেরেছেন। দরিদ্র মানুষের জন্য আজীবন নিবিষ্ট ছিলেন। দরিদ্রদের শুধু অর্থ দিয়ে সহায়তা নয়, তার আয়ের টেকসই সমাধান নিশ্চিতেও কাজ করেছেন। দরিদ্র যে একটি বহুমুখী রূপ, সেটি তার ধ্যানধারণায় ছিল। যেজন্য তিনি ক্ষুদ্র ঋণ বিতরণ করেছেন; পাশাপাশি স্বাস্থ্য, শিক্ষার দিকেও দৃষ্টি দিয়েছেন। প্রায়ই দেখা যায়, দারিদ্র্যসীমার অল্প উপরে অবস্থান করা জনগোষ্ঠী হঠাত্ করে স্বাস্থ্যগত সমস্যার ব্যয় মেটাতে গিয়ে আবার দারিদ্র্যসীমার নিচে চলে যায়। কারণে তিনি দৃষ্টি দিয়েছেন। প্রাথমিক শিক্ষাকে তিনি বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছেন। দারিদ্র্য নিরসনের বহুমুখী প্রচেষ্টার আদর্শ শুধু তিনি মনেপ্রাণে ধারণই করেননি, তিনি বিভিন্ন প্রকল্পের মাধ্যমে এগুলোকে বাস্তব রূপ দিয়েছেন।

বড় ভাই হিসেবে আবেদ ভাইয়ের কাছ থেকে সবসময় স্নেহের স্পর্শ পেয়েছি। কথা শুধু আমার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়, যারাই তার সংস্পর্শে এসেছে তারাই বলবে, আবেদ ভাই কাউকে আঘাত

");

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন