ক্যাসিনোসংশ্লিষ্টতার মাধ্যমে অবৈধ সম্পদের মালিক হওয়ার অভিযোগে যুবলীগের সাবেক প্রেসিডিয়াম সদস্য শেখ ফজলুর রহমান মারুফকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। গতকাল দুদক পরিচালক সৈয়দ ইকবাল হোসেনের স্বাক্ষর করা একটি নোটিসে তাকে আগামী ৭ জানুয়ারি বেলা সাড়ে ১১টায় কমিশনের প্রধান কার্যালয়ে হাজির হতে বলা হয়েছে।
ঠিকাদার জিকে শামীমসহ অন্যান্য ব্যক্তির বিরুদ্ধে সরকারি কর্মকর্তাদের ঘুষ দিয়ে বড় বড় ঠিকাদারি কাজ হাতিয়ে নেয়া, বিভিন্ন অনিয়মের মাধ্যমে সরকারি অর্থ আত্মসাৎ, ক্যাসিনো ব্যবসার মাধ্যমে অবৈধভাবে অর্জিত শত শত কোটি টাকা বিদেশে পাচার ও জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগের অনুসন্ধান চলছে।
শেখ ফজলুর রহমান মারুফকে পাঠানো নোটিসে বলা হয়, সুষ্ঠু অনুসন্ধানের স্বার্থে বর্ণিত অভিযোগের বিষয়ে আপনার বক্তব্য শ্রবণ ও গ্রহণ করা একান্ত প্রয়োজন। নির্ধারিত সময়ে হাজির হয়ে বক্তব্য দিতে ব্যর্থ হলে অভিযোগের বিষয়ে আপনার ‘বক্তব্য নেই’ ধরে নেয়া হবে।
অবৈধভাবে পরিচালিত ক্যাসিনো বন্ধে গত সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝি সময়ে মতিঝিলের ক্লাবপাড়ায় অভিযান শুরু করে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। এতে যুবলীগের বেশ কয়েকজন জ্যেষ্ঠ নেতার সম্পৃক্ততার তথ্য উঠে আসে।
অভিযানের সময় নিজ অফিস থেকে বিপুল পরিমাণ অর্থসহ যুবলীগ নেতা পরিচয় দিয়ে ঠিকাদারি ব্যবসা চালিয়ে আসা জি কে শামীম গ্রেফতার হন। অনলাইন ক্যাসিনোর কারবারে সম্পৃক্ততার কারণে গ্রেফতার হন ব্যবসায়ী সেলিম প্রধান, যিনি ‘প্রধান গ্রুপ’ নামে একটি ব্যবসায়ী গ্রুপের চেয়ারম্যান। এ গ্রুপের কোম্পানি পি২৪ গেমিং ওয়েবসাইটে ঘোষণা দিয়ে ক্যাসিনো ও অনলাইন ক্যাসিনোর কারবার চালিয়ে আসছিল। পি-টোয়েন্টিফোর গেমিং ছাড়াও পি-টোয়েন্টিফোর ল ফার্ম লিমিটেডে সেলিম প্রধানের ব্যবসায়িক অংশীদার হিসেবে রয়েছেন শেখ ফজলুর রহমান মারুফ।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) গত ২১ অক্টোবর মারুফ ও তার স্ত্রী সানজিদা রহমানের পাশাপাশি পি-টোয়েন্টিফোর গেমিং কোম্পানি লিমিটেড ও পি-টোয়েন্টিফোর ল ফার্ম লিমিটেডের ব্যাংক হিসাব জব্দ করে।