প্রথম পাতা

কেউ উড়োজাহাজে চলাচলের ক্ষেত্রে নিরাপত্তার নিয়ম লঙ্ঘন ও তা পরিপালনে বাধা দিলে ভবিষ্যতে তার উড়োজাহাজে চড়া বন্ধ হয়ে যাবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গতকাল হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনালের নির্মাণকাজ, বিমানের বহরে সংযুক্ত দুটি নতুন উড়োজাহাজ ও সংস্থাটির নতুন অ্যাপ উদ্বোধন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ হুঁশিয়ারি দেন প্রধানমন্ত্রী।

গতকাল সকাল সাড়ে ১০টায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নতুন টার্মিনালের নির্মাণকাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন এবং  বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের বহরে যুক্ত হওয়া দুটি নতুন ড্রিমলাইনারও (বোয়িং ৭৮৭-৯) ‘সোনার তরী’ ও ‘অচিন পাখি’ উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। এরপর বেলা সাড়ে ১১টা নাগাদ বিমানের একটি নতুন মোবাইল অ্যাপেরও উদ্বোধন করেন তিনি।

উদ্বোধন অনুষ্ঠানে উপস্থিত মন্ত্রী, সংসদ সদস্য, বিভিন্ন বাহিনী প্রধান ও বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের উদ্দেশে তিনি বলেন, আপনারা যখন বিদেশে যান, তখন যেভাবে এ নিরাপত্তাটা নিশ্চিত করা হয়, ঠিক সেভাবে সবাইকে সেটা মেনে নিতে হবে। সেখানে কেউ কোনো বাধা দিতে পারবেন না। আর যদি কেউ এক্ষেত্রে বাধা দেন, তাহলে ভবিষ্যতে তার বিমানে চড়াই বন্ধ হয়ে যাবে। অন্তত আমি সেটা করব। একটা কথা মনে রাখবেন। আসলে আমার তো আর কোনো কাজ নেই। সারা দিন আমি দেশের কাজই করি। কাজেই কোথায় কী হয়, না হয়, টুকটাক খোঁজখবরগুলো নেয়ার চেষ্টা করি। কাজেই অনিয়ম বা ব্যত্যয় ঘটাতে গেলে সঙ্গে সঙ্গে আমার কাছে কিন্তু খবরটা চলে আসে। এটা সবাইকে মনে রাখতে হবে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, শুধু বিমান কেনা নয়, যাত্রীসেবা বাড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে রক্ষণাবেক্ষণেও সবার বিশেষভাবে দৃষ্টি দিতে হবে। ১৯৯৬ সালের আগের ঢাকা এয়ারপোর্টের কথা যদি কারো স্মরণ থাকে, একটু চিন্তা করে দেখবেন, সেটা কী ধরনের অতি সাধারণ একটা এয়ারপোর্ট! বোর্ডিং ব্রিজ বা কোনো কিছুই ছিল না। একটা মাত্র সিঁড়ি। গাড়িতে নেমে ওখানে দোতলায় উঠে আবার নিচে নেমে হেঁটে প্লেনে উঠতে হতো। আমি যখন প্লেনে যেতাম, ঝরঝর করে পানি পড়ত। তোয়ালে, টিস্যু দিয়ে বন্ধ করতে হতো। এন্টারটেইনমেন্টের কোনো ব্যবস্থাই ছিল না।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের বিমানের নিজস্ব কোনো কার্গো উড়োজাহাজ নেই। কাজেই কার্গো উড়োজাহাজ আমাদের প্রয়োজন। থার্ড টার্মিনালের সঙ্গে অত্যন্ত আধুনিক কার্গো ভিলেজ হবে।