চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেছেন, নগরে চাপ বাড়ছে মানুষের। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মানুষ ছুটে আসছে। ওভার লোডেড হয়ে গেছে। এ মুহূর্ত থেকে নতুন চিন্তা করা উচিত। নগরের সীমা বাড়ানো সময়ের দাবি।
গতকাল নগরীর শেরশাহে চট্টগ্রাম সাংবাদিক কো-অপারেটিভ হাউজিং সোসাইটি লিমিটেডের ফ্ল্যাটব্লক কাম শপিং ও কমিউনিটি সেন্টার প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মেয়র এসব কথা বলেন।
মেয়র বলেন, মিরসরাইয়ে বঙ্গবন্ধু শিল্পনগরে ১৫ লাখ মানুষের কর্মসংস্থান হবে। আনোয়ারায় দুটি ইকোনমিক জোন হবে। সেখানেও কর্মসংস্থান হবে। সেই কর্মীরা থাকবেন চট্টগ্রাম শহরে। তাই এ মুহূর্ত থেকে উদ্যোগী হতে হবে নগর সম্প্রসারণে। এ নগর অপরিকল্পিতভাবে গড়ে উঠেছে। নাগরিক সুযোগ-সুবিধা পর্যাপ্ত নয়। পরিবেশবান্ধব স্বাস্থ্যসম্মত নগরীও হয়ে ওঠেনি। চট্টগ্রামে আবাসিক এলাকা আছে নামমাত্র। আবাসিক এলাকায় বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান হয়েছে। নাগরিকবোধ নেই। নগরীর জন্য সুন্দর মাস্টারপ্ল্যান গ্রহণ সময়ের দাবি। কোন সংস্থা কী কাজ করবে তা নির্ধারণ করতে হবে।
ইউটিলিটি সার্ভিস লাইন প্রসঙ্গে মেয়র বলেন, এক সড়ক বারবার কাটছে। যত সংস্কার করি না কেন, দিন শেষে সিটি করপোরেশনকে দায়ী করা হচ্ছে। ইউটিলিটি সার্ভিস লাইন তৈরির এখনো সময় আছে। তাহলে বারবার সড়ক কাটতে হবে না। কিন্তু ওয়াসা, টিঅ্যান্ডটি সড়ক কাটছে, পিডিবিও কাটবে। এভাবে চলতে থাকলে ব্যক্তি আসবে আবার চলেও যাবে। দিন শেষে যারা থাকবে তারা ভুক্তভোগী হবেন।
সোসাইটির পরিচালক ও বিএফইউজের যুগ্ম মহাসচিব মহসীন কাজীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি আবু সুফিয়ান, চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক হাসান ফেরদৌস, বিএফইউজের সহসভাপতি রিয়াজ হায়দার চৌধুরী প্রমুখ।