মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মধ্যে কতগুলো অদ্ভুত মিল রয়েছে। ট্রাম্প ও মোদি মনেপ্রাণে মুসলিমবিদ্বেষী এবং দুজনেই তাদের মুসলিমবিরোধী অন্ধবিশ্বাস আঁকড়ে ধরে রাখার ব্যাপারে আপসহীন। বিশ্বব্যাপী মুসলিম জঙ্গিবাদী ঘাতকগোষ্ঠীগুলোর আত্মঘাতী মারণযজ্ঞের কারণে বর্তমানে সারা বিশ্বে ইসলাম ধর্ম ও মুসলিমদের ভাবমূর্তি চরম সংকটাপন্ন হয়ে পড়েছে। অচিন্তনীয় নিষ্ঠুরতার সঙ্গে পরিচালিত তথাকথিত ইসলামিক স্টেটের ঘাতকদের পৈশাচিক কায়দার হত্যাকাণ্ড বিশ্বকে মুসলমানদের বিরুদ্ধে দাঁড় করিয়ে দিয়েছে, এই ঘাতক-জল্লাদরা সারা বিশ্বের দৃষ্টিতে ইসলামকে হিংস্র, রক্তলোলুপ দানবদের অন্ধ আক্রোশের বহিঃপ্রকাশের উৎস হিসেবে চিহ্নিত করে ফেলেছে। বিশ্বের দেশে দেশে মুসলিমবিদ্বেষ বর্তমানে সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছে গেছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ভারত এক্ষেত্রে সবচেয়ে আগুয়ান। ট্রাম্প ও মোদির কট্টর মুসলিমবিদ্বেষ দুজনকে হয়তো পরম মিত্রতার বন্ধনেও আবদ্ধ করেছে। ডোনাল্ড ট্রাম্পকে কট্টর অভিবাসীবিদ্বেষী হিসেবে সারা বিশ্ব চিনলেও অমুসলিম ভারতীয় অভিবাসীদের ব্যাপারে প্রবল ভক্তি তার
ইহুদি প্রেমের মতোই শক্তিশালী। মার্কিন অভিবাসনের নিয়মকানুন ট্রাম্পের আমলে অনেক বেশি কঠোর করার চলমান প্রক্রিয়ার বিপরীতে কীভাবে ভারতীয় অমুসলিমদের জন্য মার্কিন নাগরিকত্ব অর্জন সহজ করা যায়, তার নানা আইনি পরিবর্তন এখন মার্কিন কংগ্রেসের সক্রিয় বিবেচনাধীন ট্রাম্পের উৎসাহের কারণে! ট্রাম্প কয়েক মাস আগে টেক্সাসের ডালাসের একটি স্টেডিয়ামে মোদিকে একটি নাগরিক সংবর্ধনা দেয়ার আয়োজন করেছিলেন ভারতীয়-মার্কিন ভোটারদের মনোরঞ্জনের জন্য। এই ব্যতিক্রমী ও সুচতুর চালের কারণে আগামী বছরের মার্কিন প্রেসিডেন্সিয়াল নির্বাচনে মার্কিন-প্রবাসী ভারতীয়দের সংখ্যাগরিষ্ঠের ভোট যে ট্রাম্পের পক্ষে যাবে, সেটা এক রকম নিশ্চিত বলা চলে। অথচ মার্কিন
রাজনীতিতে ভারতীয় অভিবাসীসহ এশীয়-মার্কিন নাগরিকদের ভোটের সিংহভাগ ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রার্থীদের পক্ষে পড়ার ঐতিহ্যই সৃষ্টি হয়েছিল এতদিন যাবৎ।
ট্রাম্প ও মোদির আরো যে মিলগুলো উল্লেখযোগ্য তা হলো, তারা দুজনেই রাজনৈতিক মতাদর্শের বিচারে চরম দক্ষিণপন্থী। রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে আঘাত করার সময় দুজনেই লাগামহীনভাবে আগ্রাসী বাক্যবাণ প্রয়োগ করায় সিদ্ধহস্ত। দুজনেই প্রয়োজনে সোস্যাল মিডিয়া টুইটারে আক্রমণ শানাতে ভালোবাসেন, যদিও ট্রাম্প মোদির চেয়ে অনেক বেশি ঘন ঘন টুইটারের আশ্রয় নেন। বেফাঁস মন্তব্য করার বদ খাসলত থাকায় ট্রাম্প পারতপক্ষে সরাসরি মিডিয়ার সাংবাদিকদের সাক্ষাত্কার দেন না, তার প্রধান অস্ত্র টুইটারে গালাগাল দেয়া। মোদি সাংবাদিকদের সরাসরি মোকাবেলায় অনেক বেশি পারঙ্গম। তার সুবিধে হলো, ভারতের প্রধানমন্ত্রীদের অনেক বেশি সুযোগ থাকে বড় বড় জনসভায় অনলবর্ষী
- পারিবারিক ব্যবসা টেকসই না হওয়ার মূলে রয়েছে কাঠামোগত সমস্যা
- ম্যালেরিয়ার বাহক নিয়ন্ত্রণে গবেষণা জোরদার করা প্রয়োজন
- লোকসান কমাতে রেয়াতি সুবিধা প্রত্যাহার নয়, দুর্নীতি দমন করতে হবে
- স্বাস্থ্যঝুঁকি কমাতে সচেতনতা বাড়াতে হবে
- ভেতর থেকেই জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের সংস্কার প্রয়োজন
- প্রবাসী আয় বাড়িয়ে যেভাবে রিজার্ভ সংকট কমানো যেত