বগুড়ার স্কুল ও কলেজগুলোয় সেশন ফি ২ হাজার টাকার বেশি আদায়ের প্রতিবাদে অভিভাবক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল বেলা সাড়ে ১১টায় জেলা শহরের সাতমাথায় এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
বগুড়ার বিভিন্ন স্কুল-কলেজ সরকারি নীতিমালা ভঙ্গ করে অতিরিক্ত সেশন ফি আদায় করছে—এমন অভিযোগে বগুড়ার শুকরা এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী মো. আব্দুল মান্নান আকন্দ হাইকোর্টে রিট করেন। হাইকোর্ট অতিরিক্ত সেশন ফি না নিতে ১৭ ডিসেম্বর একটি নির্দেশনা দিলেও অভিভাবকদের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
সমাবেশে বক্তব্য রাখেন অ্যাডভোকেট রেজাউল করিম মন্টু, হাইকোর্টে রিটকারী আইনজীবী মোশারফ হোসেন মনির, জেলা শ্রমিক লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আব্দুল আল মামুন মিলু, নাহারুল ইসলাম, শিশির মোস্তাফিজ, অ্যাডভোকেট রুনা, অভিভাবক আবু তালেবুল হাসান প্রমুখ।
মো. আব্দুল মান্নান আকন্দ বলেন, হাইকোর্টে রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ১৭ ডিসেম্বর নীতিমালাবহির্ভূত অতিরিক্ত নেয়া সেশন ফির টাকা ফেরত দেয়ার নির্দেশ দেন আদালত। একই সঙ্গে বগুড়ার কোনো স্কুল-কলেজ যেন নির্ধারিত নিয়ম অনুযায়ী ২ হাজার টাকার বেশি অতিরিক্ত সেশন ফি না নেয় তার জন্যও নির্দেশনা প্রদান করা হয়। তার পরও এ নির্দেশনা মানছে না বেশির ভাগ স্কুল ও কলেজ কর্তৃপক্ষ।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, বগুড়ার বিভিন্ন স্কুল-কলেজ কর্তৃপক্ষ সরকারি নীতিমালা ভঙ্গ করে অতিরিক্ত সেশন ফি আদায় করছে। এ বিষয়ে হাইকোর্টের রুল ও নির্দেশনা রয়েছে। কিন্তু স্কুল ও কলেজ কর্তৃপক্ষ ওই নির্দেশনা মানছে না। বিভিন্ন খাত দেখিয়ে স্কুল ও কলেজ কর্তৃপক্ষ ৫ থেকে ২০ হাজার টাকা পর্যন্ত সেশন ফি আদায় করছে। সরকার যখন শিক্ষায় যুব সমাজকে এগিয়ে নিতে ভর্তুকি দিচ্ছে, তখন কিছু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সরকারের অর্জিত সাফল্যকে কৌশলে ম্লান করে দিতে শিক্ষাকে বাণিজ্যে পরিণত করেছে। এতে সব থেকে বেশি বিপাকে পড়েছেন অভিভাবকরা। অনেক অভিভাবক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ফি দিতে না পেরে সন্তানদের পড়ালেখা বন্ধ করে দিয়েছেন।