জাতীয় নাগরিকপঞ্জি এবং সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন নিয়ে ভারতে বিক্ষোভ চলছে। দেশটিতে নরেন্দ্র মোদি সরকারের নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ বিভিন্ন রাজ্যে ছড়িয়ে পড়েছে। ক্রমবর্ধমান বিক্ষোভ দমন এবং প্রতিরোধকারীরা যাতে সংগঠিত হতে না পারে, সেজন্য সরকারের নির্দেশে বিভিন্ন অঞ্চলে ইন্টারনেট সেবা বন্ধ করা হচ্ছে। গত শুক্রবারও ভারতের উত্তর প্রদেশের কমপক্ষে ১৮টি জেলায় মোবাইল ইন্টারনেট সেবা বন্ধ করা হয়। রাজনৈতিক ইস্যুকে কেন্দ্র করে বারবার ইন্টারনেট সেবা বন্ধে দেশটির সেলফোন অপারেটরগুলো প্রতি ঘণ্টায় ২ কোটি ৪৫ লাখ রুপি (৩ লাখ ৫০ হাজার ডলার) রাজস্ব লোকসান দিচ্ছে। খবর রয়টার্স।
ভারত সরকার নতুন নাগরিকত্ব আইন সংসদে পাস করার তিন সপ্তাহের মাথায় দেশব্যাপী বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। ক্রমবর্ধমান এ বিক্ষোভ ঠেকাতে দেশটির সরকার নানা কৌশল অবলম্বন করছে। এর মধ্যে অন্যতম হলো সংক্ষিপ্ত নির্দেশে মোবাইল ইন্টারনেট সেবা বন্ধ করা। কারণ দেশটির সাধারণ মানুষ নতুন নাগরিকত্ব আইনের বিরোধিতায় সংগঠিত হতে ইনস্টাগ্রাম, টিকটক ও ফেসবুকের মতো সোস্যাল মিডিয়া প্লাটফর্মগুলো ব্যাপক পরিসরে ব্যবহার করছে। রাজনৈতিক ইস্যুকে কেন্দ্র করে ভারত সরকারের ধারাবাহিকভাবে ইন্টারনেট সেবা বন্ধের সিদ্ধান্ত মুক্ত ইন্টারনেট নিয়ে কাজ করাদের তীব্র সমালোচনার সম্মুখীন হচ্ছে।
টেলিযোগাযোগ খাতসংশ্লিষ্ট একটি সূত্রের উদ্ধৃতি দিয়ে রয়টার্স জানিয়েছে, গত শুক্রবার ভারতের উত্তর প্রদেশের কমপক্ষে ১৮টি জেলায় সরকারের নির্দেশে ইন্টারনেট সেবা বন্ধ করা হয়েছে। এছাড়া একটি ইন্টারনেট সার্ভিস সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে গতকাল সকাল পর্যন্ত দিল্লিতে ২৪ ঘণ্টার জন্য হোম ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সার্ভিস বন্ধের নির্দেশ পাওয়ার কথা জানানো হয়েছে।
সুইডিশ টেলিকম সরঞ্জাম নির্মাতা এরিকসনের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ভারতীয়রা প্রতি মাসে গড়ে ৯ দশমিক ৮ গিগাবাইট ইন্টারনেট ডাটা স্মার্টফোনে ব্যবহার করেন, যা বিশ্বের যেকোনো দেশের নাগরিকের চেয়ে বেশি। ভারত ব্যবহারকারী বিবেচনায় সোস্যাল মিডিয়া প্লাটফর্ম ফেসবুক এবং প্রতিষ্ঠানটি নিয়ন্ত্রিত হোয়াটসঅ্যাপ মেসেঞ্জারের বৃহৎ বাজার।
সেলুলার অপারেটর অ্যাসোসিয়েশন অব ইন্ডিয়ার (সিওএআই) দাবি, রাজনৈতিক বা অন্য যেকোনো কারণে হোক বিক্ষোভ দমনে ইন্টারনেট বন্ধ করে দেয়া কোনো দেশের প্রথম পদক্ষেপ হওয়া উচিত নয়।
সিওএআইর মহাপরিচালক রাজন ম্যাথিউস বলেন, দেশব্যাপী ধারাবাহিকভাবে ইন্টারনেট বন্ধে আর্থিক ক্ষতির দিকটি আমাদের বিবেচনায় রাখতে হবে। গোটা বিশ্বে ইন্টারনেট ব্যবহার বেড়েছে। দৈনন্দিন ব্যবসা-বাণিজ্য পরিচালনায় এখন ইন্টারনেট অন্যতম মাধ্যম হয়ে উঠেছে। আমাদের চলতি বছরের হিসাব অনুযায়ী, ইন্টারনেট বন্ধের কারণে