আবারো ঢাকা প্লাটুনকে হারাল চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স।
চট্টগ্রামে অবশ্য স্বাগতিকদের সঙ্গে দুর্দান্ত লড়াই করেছিল মাশরাফি মর্তুজার দল।
চট্টগ্রামের গড়া ২২১ রান টপকানোর চ্যালেঞ্জে ঢাকার ইনিংস শেষ হয়েছিল ২০৫ রানে।
হেরেছিল ১৬ রানে।
কিন্তু গতকাল ঢাকা পর্বে কোনো প্রতিদ্বন্দ্বিতা গড়তে পারেনি স্বাগতিকরা।
চট্টগ্রামের কাছে ঢাকা হেরেছে ৬ উইকেটের ব্যবধানে।
এ জয়ে শেষ চারের আরো কাছাকাছি পৌঁছে গেল চট্টগ্রাম।
আট ম্যাচে ছয় জয়ে দলটির সংগ্রহ ১২ পয়েন্ট।
সাত খেলায় চার জয়ে ৮ পয়েন্ট নিয়ে তৃতীয় স্থানে অবস্থান ঢাকার।
চলতি বিপিএলে এ দুই জায়ান্ট দলের লড়াই ছড়াচ্ছিল ভিন্ন উত্তাপ।
কিন্তু মাঠের লড়াইয়ে তার কোনো প্রতিফলন দেখা যায়নি।
চট্টগ্রাম পর্বে রাজত্ব করেছিলেন ব্যাটসম্যানরা।
ঢাকার ফিরতি পর্বেও বলা হয়েছিল রান-উৎসবের সম্ভাবনার কথাই।
কিন্তু দুই বড় দলের দ্বৈরথে ঢাকার ব্যাটসম্যানরা ছিলেন ফ্লপ।
টসে হেরে ব্যাট করতে নেমে একটা ভালো শুরুর ইঙ্গিত দিয়েছিলেন ঢাকার দুই ওপেনার তামিম ইকবাল ও এনামুল হক বিজয়।
৫.৪ ওভারে ৩২ রান যোগ করেন দুজনে।
এ জুটি ভাঙার পর পতনের মিছিল শুরু হয়ে যায় প্লাটুনদের।
বিজয়ের (১৪) রান আউটের মধ্য দিয়ে শুরু হয় ভাঙন।
ষষ্ঠ ওভারের শেষ বলে ব্যক্তিগত খাতায় রান যোগ করার আগেই বিদায় নেন মেহেদী হাসান।
এ ধাক্কা সামলে ওঠার আগেই সাজঘরমুখো হন তামিম (৩২)। এ ধস আর থামেনি।
ঢাকা অষ্টম উইকেট হারায় মাত্র ৯৩ রানে।
এ অবস্থায় তাাদের রান ১০০ পেরোবে কিনা তা নিয়ে দেখা দেয় সংশয়।
তবে নবম উইকেট জুটিতে দারুণ প্রতিরোধ গড়ে তোলেন মাশরাফি ও ওয়াহাব রিয়াজ।
১৯ বলের জুটিতে ৩১ রান যোগ করেন দুজনে।
বলাবাহুল্য, এটা ঢাকার ইনিংসে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রানের জুটি।
ইনিংসের শেষ বলে আউট হয়ে যান ওয়াহাব (১৫ বলে ২৩)। মাশরাফি ১২ বল খেলে অপরাজিত থাকেন ১৭ রানে।
ঢাকা ইনিংসে ছয়জন ব্যাটসম্যান পাননি দুই অংকের ঘরের নাগাল।
চট্টগ্রামের হয়ে দুটি করে উইকেট নিয়েছেন মুক্তার আলী ও রায়ান বার্ল।
মাত্র ১২৪ রানের পুঁজি নিয়ে কুমিল্লার মতো ব্যাটিংসমৃদ্ধ দলকে আটকে রাখতে হলে অসাধারণ কিছু করতে হতো ঢাকার বোলারদের।
থিতু হওয়ার আগে জুনায়েদ সিদ্দিকীকে (৮) ফিরিয়ে দিয়ে একটা জমজমাট ম্যাচের ইঙ্গিত দিয়েছিলেন এবারের আসরে দুর্দান্ত পারফর্ম করা অফস্পিনার মেহেদী হাসান।
কিন্তু ইমরুল কায়েসের দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে ম্যাচটি পরিণত হয় একতরফা প্রদর্শনীতে।
লেন্ডল সিমন্স (১৫) বিদায় নেয়ার পর চাদউইক (২৫) ওয়ালটনকে সঙ্গী করে ঢাকাকে ম্যাচ থেকে ছিটকে দেন ইমরুল।
তৃতীয় উইকেট জুটিতে দুজনে যোগ করেন ৪১ রান।
চতুর্থ উইকেটে বার্লের সঙ্গে যোগ করেন আরো ৩৪ রান।
এরপর নুরুল হাসনকে (৫*) সঙ্গী নিয়ে জয় নিশ্চিত করেই মাঠ ছাড়েন ইমরুল।
৮ বল হাতে রেখেই জয়ের বন্দরে নোঙর করে চট্টগ্রাম।
ইমরুল অপরাজিত থাকেন ৫৪ রানে।
তার ৫৩ বলের হার না মানা ইনিংসে পাঁচ বাউন্ডারির সঙ্গে ছক্কার মার দুটি।
আরেক ম্যাচে রংপুর রেঞ্জার্সকে হারিয়েছে খুলনা টাইগার্স।
আগে ব্যাট করে ৭ উইকেটে ১৮২ রান করে খুলনা।
জবাবে ১৩০ রানে থেমে যায় রংপুর।