নদী ভাবনা: প্রেক্ষিত ভৈরব

এমআর খায়রুল উমাম

জীবন সংগ্রাম, সংস্কৃতি, সুখ-দুঃখ, অধিকার-অনধিকার, ক্ষমতার দাপট ইত্যাদি নিয়ে যেখানে মানুষের ভাবনার শেষ নেই সেখানে ভাষাহীন বৃক্ষ, জলা, পাহাড়, নদী, সাগর আর পশুপাখির অস্তিত্ব নিয়ে মানুষের ভাবার সময় কই? আর আমাদের দেশে প্রতিষ্ঠা লাভের আশায় ছুটতে গিয়ে মানুষ যেখানে তার মানবিক গুণাবলিই বিসর্জন দিতে কুণ্ঠা বোধ করছে না, সেখানে প্রকৃতি, পরিবেশ আর বন্যপ্রাণীর উপেক্ষিত হওয়াটা কি খুব অস্বাভাবিক হয়ে যায়? প্রকারান্তে পরিবেশ ধ্বংসকারী জানার পরও সংশ্লিষ্ট কোনো বিষয়ই আমাদের মধ্যে খুব একটা চেতনার উদ্রেক করছে না। প্রতিনিয়ত পরিবেশ ধ্বংসের অজস্র ঘটনার জন্ম দিয়ে নির্বিকারভাবে দিন কাটিয়ে চলেছি আমরা, পরস্পর পরস্পরের দোষ ধরাধরি করেই সময়ক্ষেপণ করে চলেছি।

বিশ্বের বৃহত্তম -দ্বীপ বাংলাদেশ চার কোটি মানুষের বসবাস উপযোগী হলেও এখানে এখন ১৭ কোটি লোকের বাস। জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার সরকারের সব উদ্যোগকে পেছনে ফেলে এখনো যা আছে তাতেই পরিস্থিতি উদ্বেগজনক। ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার মৌলিক চাহিদা পূরণের ক্ষেত্রে আশু সমাধানের পরিকল্পনা গ্রহণের ফলে পরিবেশ বিপন্ন হয়ে পড়ছে। জনগণের জন্য খাদ্য জোগানে, অধিক খাদ্য উৎপাদনে, প্রতি ইঞ্চি জমি আবাদের নীতি গ্রহণ করার ফলে চলনবিলের মতো জলাধারগুলো পোল্ডারে বেঁধে রেখে ধান চাষের ব্যবস্থা গ্রহণের ফলে আমাদের ভূ-উপরিস্থ পানির রিজার্ভার নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। ভাত যে একমাত্র খাদ্য নয়, এটাই বোধকরি আমাদের পরিকল্পকরা ভুলে গেছেন। তাই দেশে যে মরুকরণ প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে, তার জন্য প্রকৃতির চেয়ে আমরা কোনো অংশে কম দায়ী নই।

বিশ শতকের শুরুতে বিশ্বের জনসংখ্যা ছিল দুই বিলিয়ন আর একুশ শতকে এসে বিশ্বের জনসংখ্যা হয়েছে ছয় বিলিয়ন। এই এক শতাব্দীতে বেড়েছে চার বিলিয়ন মানুষ। জাতিসংঘের হিসাবমতে, ২০৫০ সালে বিশ্বের জনসংখ্যা হবে নয় বিলিয়ন। ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার বৃদ্ধি বিশ্বের সামাজিক প্রাকৃতিক পরিবেশকে হুমকির মুখে ঠেলে দিচ্ছে। সামগ্রিকভাবে বিশ্বের জনসংখ্যার হার কমলেও মৃত্যুর হার কমে গিয়ে মানুষের জীবনযাত্রার মান বাড়ছে। মানুষ বেশি দিন বাঁচতে পারছে বলে সমাজ, অর্থনীতি, সংস্কৃতি পরিবেশের ওপর চাপ বাড়ার কারণে সার্বিক বিপর্যয় লক্ষ করা যাচ্ছে।

বিপর্যস্ত পৃথিবীতে তাই ইট, পাথরের গুদাম থেকে সবুজের কোলে পালিয়ে যাওয়ার প্রচেষ্টা বাড়ছে প্রতিনিয়ত। পাখির কাকলি

");

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন