রংপুর ও ঠাকুরগাঁওয়ে আগুন পোহাতে গিয়ে
দগ্ধ তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। গত বুধবার রাতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তারা।
প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর—
রংপুর: আগুন পোহাতে গিয়ে দগ্ধ শিশুসহ দুজন
রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। গত বুধবার রাত
দেড়টার দিকে তারা মারা যান। মৃতরা হলেন গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ থানার বাবর আলীর
মেয়ে সাবিহা (৩) ও একই জেলার সাদুল্লাপুর থানাধীন ইদিলপুর গ্রামের সিদ্দিকুর রহমানের
ছেলে শারীরিক প্রতিবন্ধী আলম মিয়া
(৩৫)।
বিষয়টি নিশ্চিত করে রমেক হাসপাতালের
বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি বিভাগের প্রধান সহকারী অধ্যাপক ডা. এমএ
হামিদ পলাশ জানান, নিহত সাবিহা ১৮ ডিসেম্বর ও আলম মিয়া ২০ ডিসেম্বর দগ্ধ হয়ে হাসপাতালে
ভর্তি হয়েছিলেন।
তিনি আরো জানান, গত
১১ দিনে রমেক হাসপাতালে ২৬ জন অগ্নিদগ্ধ রোগী ভর্তি হয়েছেন। এর মধ্যে দুজন মারা
গেছেন এবং তিনজন চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি চলে গেছেন। তিনজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায়
রেফার করা হয়েছে। বর্তমানে ১৮ জন হাসপাতালে ভর্তি আছেন। তারা সবাই শীতে আগুন
পোহাতে গিয়ে অগ্নিদগ্ধ হয়েছেন বলে জানান ওই চিকিৎসক।
এদিকে ঠাকুরগাঁওয়ে ঘর গরম করার জন্য
খাটের নিচে রাখা আগুনে পুড়ে এক বৃদ্ধার মৃত্যু হয়েছে। গত বুধবার সন্ধ্যায় উপজেলার
ভোমরাদহ ইউনিয়নের সেনুয়া বাজার এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। মৃত বৃদ্ধার নাম রজিমা
বেওয়া (৭০)। তিনি ওই এলাকার সিরাজুল ইসলামের স্ত্রী।
উপজেলার ভোমরাদহ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান
হিটলার জানান, গত বুধবার সন্ধ্যায় আগুন পোহানোর জন্য বিছানার নিচে মাটির পাত্রে আগুন
রেখে শুয়েছিলেন রজিমা। সেখান থেকে আগুন মশারিতে লেগে যায়। পরে সারা ঘরে ছড়িয়ে পড়ে।
এতে ঘরের মধ্যেই আগুনে পুড়ে রজিমা মারা যান।