ফারিয়া শাহরিন। ‘লাক্স-চ্যানেল আই সুপারস্টার প্রতিযোগিতা’র ২০০৭ সালের প্রথম রানারআপ। বিজ্ঞাপন ও নাটকে একটা সময় নিয়মিত ছিলেন। এরপর হুট করেই মিডিয়া থেকে সরে দাঁড়ান। মাঝের সময়টা পড়াশোনা করেছেন মালয়েশিয়ার এশিয়া প্যাসিফিক বিশ্ববিদ্যালয়ের মিডিয়া মার্কেটিং বিভাগে। পড়াশোনার পাট চুকিয়ে সম্প্রতি দেশে ফিরেছেন এ অভিনেত্রী ও মডেল। দীর্ঘ সময় পর কাজে ফিরে কেমন বোধ করছেন, মিডিয়ার কোনো পরিবর্তন তার চোখে পড়ছে কি? এসব প্রশ্নের উত্তরসহ টকিজের মুখোমুখি হয়ে ফারিয়া শাহরিন জানালেন তার নতুন কাজের ফিরিস্তি। সাক্ষাত্কার নিয়েছেন তুষার ফারুক—
কেমন আছেন?
ভালো আছি।
যদিও শুটিংয়ের
পেছনে একটু
বেশি সময়
দিতে হচ্ছে
বলে অন্য
কোনো কিছু
নিয়ে ভাবার
ফুরসত পাচ্ছি
না।
অনেক দিন
পর মিডিয়ায় ফিরলেন। এ
জগতে আগের
চেয়ে এখন
কীভাবে এগিয়ে
চলছেন?
খুব ভালোভাবেই
এগিয়ে চলছি।
কারণ অনেক
দিন পর
ফিরে আসার
পরও আমাকে
সবাই ভালোভাবেই
গ্রহণ করেছেন।
কিন্তু একটি
বিষয় খারাপ
লাগছে, তাহলো
আমি অনেক
কিছু ভুলে
গেছি। আসলে
অনেক দিন
অভিনয়চর্চার মধ্যে
না থাকার
কারণে এমনটা
ঘটেছে। প্রতিদিন
যারা এ
চর্চার মধ্যে
থাকে, তারা
নিশ্চিতভাবেই অনেক
বেশি দক্ষ
হয়ে ওঠে।
কিন্তু আমি
অনেক দিন
অভিনয় থেকে
বাইরে থাকার
কারণে অনেক
কিছু ভুলে
গেছি। যে
কারণে একটু
কষ্ট হচ্ছে।
তবে আমি
ভাগ্যবতী, আমার
সহকর্মীরা আমাকে
সহযোগিতা করছেন।
দীর্ঘ সময়
পর কাজে
ফিরে কি
কোনো পরিবর্তন দেখতে পাচ্ছেন শুটিং ও
টিম ওয়ার্কের মতো বিষয়গুলোয়?
আমি তো আসামাত্রই দীপ্ত টিভির ‘ভালোবাসার আলো আঁধার’ নামের সিরিয়ালটির কাজ করেছি। এ কারণে শুধু এদের নিয়েই বলতে পারি। দীপ্তর সঙ্গে কাজ করে মনে হয়েছে, এখানকার সবাই শৃঙ্খলার মধ্যে কাজ করে। ভোর ৬টা মানে ভোর ৬টা। সবকিছুই ঘড়ির কাঁটা অনুযায়ী চলে। অন্য কোনো চ্যানেলে কাজ করতে গিয়ে এর আগে এ বিষয়গুলোর দেখা পাইনি, যা ছিল খুবই দুঃখজনক। আরেকটা দিক হলো নাটক, সিরিয়াল নির্মাণের ক্ষেত্রে অনেকেই স্ক্রিপ্ট অনুসরণ করেন না। নির্মাতারাই অভিনেতাদের বলে দেন ‘আপনারা আপনাদের মতো করে করেন।’ বিষয়টা খুব খারাপ। আগে