জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়

নামের ভিন্নতায় সচল ‘বাণিজ্যিক কোর্স’

হাসান তানভীর জাবি

বিষয়বস্তু বা চরিত্র এক হলেও শুধু নামের ভিন্নতার কারণে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) চালু রয়েছেবাণিজ্যিক কোর্স’, যাউইকেন্ড কোর্সনামে পরিচিত। আর অন্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলোয় তাসান্ধ্য কোর্সনামে পরিচিত। শব্দের ছদ্ম আবরণে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের (ইউজিসি) নির্দেশনা সত্ত্বেও বাণিজ্যিক কোর্স চালু রেখেছে জাবির বিভিন্ন বিভাগ ইনস্টিটিটিউট।

জানা গেছে, ডিসেম্বর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫২তম সমাবর্তনে আচার্য রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বলেন, ‘বাণিজ্যিক কোর্স সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানে পরিণত করছে। এতে ক্যাম্পাসের সার্বিক পরিবেশ বিঘ্নিত হচ্ছে।রাষ্ট্রপতির এমন মন্তব্যের পর সান্ধ্য কোর্স বন্ধ করাসহ পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনায় ১৩ দফা সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা দিয়ে উপাচার্যদের কাছে নোটিস পাঠায় ইউজিসি। ইউজিসির নির্দেশনা আমলে নিয়ে কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয় বাণিজ্যিক কোর্স বন্ধ ঘোষণা করলেও জাবি প্রশাসন ব্যাপারে এখনো কোনো পদক্ষেপ নেয়নি।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বর্তমানে জাবির ১৬টি বিভাগ এবং দুটি ইনস্টিটিউটে উইকেন্ড কোর্স পরিচালিত হচ্ছে। বিভাগগুলো হলো ইংরেজি, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক, লোক প্রশাসন, অর্থনীতি, ভূগোল পরিবেশ, সরকার রাজনীতি, কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং, পরিবেশ বিজ্ঞান, পদার্থবিজ্ঞান, রসায়ন, গণিত পরিসংখ্যান, ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং, মার্কেটিং, অ্যাকাউন্টিং অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ বিভাগ। ইনস্টিটিউট দুটি হলো ইনস্টিটিউট অব ইনফরমেশন টেকনোলজি ইনস্টিটিউট অব বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন।

জানা যায়, উইকেন্ড কোর্সে প্রতি বছর প্রায় আড়াই হাজার শিক্ষার্থী ভর্তি হন। প্রতি শিক্ষার্থীর কাছ থেকে কোর্স ভেদে ৯৫ হাজার থেকে শুরু করে দুই লক্ষাধিক টাকা নেয়া হয়। এসব শিক্ষার্থীর কাছ থেকে বছরে বিভাগ ইনস্টিটিউটগুলোর আয় প্রায় সাড়ে ৩৬ কোটি টাকা। আয়ের ৪০ শতাংশ বিশ্ববিদ্যালয়কে দেয়া হয় বলে দাবি করা হলেও সব বিভাগ ইনস্টিটিউট যথাযথভাবে অর্থ দিচ্ছে না বলে জানায় প্রশাসনের একটি সূত্র। এছাড়া বেতন থেকে কয়েক গুণ বেশি অর্থ আয়ের সুযোগ থাকায় শিক্ষকরা নিয়মিত শিক্ষার্থীদের ক্লাস-পরীক্ষা না নিলেও উইকেন্ড কোর্সের ক্লাসের ক্ষেত্রে অনেক বেশি আন্তরিক থাকেন বলে অভিযোগ সাধারণ শিক্ষার্থীদের।

এদিকে নতুন করে উইকেন্ড কোর্সে ভর্তির বিজ্ঞপ্তিসহ ভর্তি পরীক্ষা গ্রহণ করেছে কয়েকটি বিভাগ। এর মধ্যে অর্থনীতি বিভাগ নতুন শিক্ষার্থী ভর্তির বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে এবং ইনস্টিটিউট অব বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন, লোক প্রশাসন, সিএসই এবং গণিত বিভাগ ভর্তি পরীক্ষা গ্রহণ করেছে বলে জানা গেছে।

নতুন শিক্ষার্থী ভর্তিতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে অনুমতি আছে কিনা, জানতে চাইলে অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক মোহাম্মদ আমজাদ হোসেন বণিক বার্তাকে বলেন, যেহেতু বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে নতুন কোনো নির্দেশনা আসেনি, তাই আগের নিয়মেই আমাদের বিভাগে ভর্তির বিজ্ঞপ্তি দেয়া হয়েছে। যদি প্রশাসনের পক্ষ থেকে নতুন ভর্তি না নেয়ার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত আসে, তাহলে আমরা তা অবশ্যই পালন করব।

উইকেন্ড কোর্স বন্ধ করার বিষয়ে প্রশাসন কী ভাবছে, জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের উইকেন্ড কোর্সের দায়িত্বে থাকা উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক . মো. আমির হোসেন বণিক বার্তাকে বলেন, ব্যাপারে আমাদের এখনো আনুষ্ঠানিক মিটিং হয়নি। তাছাড়া ইউজিসি সান্ধ্য কোর্সগুলো বন্ধ করার নিদের্শনা দিয়েছে। আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে যেহেতু সান্ধ্য কোর্স নেই, উইকেন্ড কোর্স চলে, তাই বিষয়টি ইউজিসির নির্দেশনার মধ্যে পড়ে না। ইউজিসি যদি উইকেন্ড প্রোগ্রাম বন্ধের নিদের্শনা দেয়, তাহলে আমরা বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করব।

জানতে চাইলে একই কথা বলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক . ফারজানা ইসলাম। তিনি বলেন, যেহেতু আমাদের এখানে সান্ধ্য কোর্স নেই, তাই ইউজিসির

");

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন