আরো একটি বছর শেষ হতে চলল। গত বছরেও ফুটবল হাজির হয়েছিল নানা ঘটনা নিয়ে। যেখানে ক্লাব ফুটবলে দীর্ঘ সময় পর নতুন জন্ম দেখল লিভারপুলের। দলীয় সাফল্য আহামরি না হলেও ২০১৯ সাল ব্যক্তিগতভাবে লিওনেল মেসির মুখে হাসি ফুটিয়েছে। ষষ্ঠবারের মতো মেসি জিতেছেন ব্যালন ডি’অর। তার হাতে উঠেছে ফিফা বর্ষসেরার পুরস্কার। পাশাপাশি ২০১৮ সালে ব্যর্থতায় মোড়া সময় কাটানোর পর দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়িয়েছে ইতালি ও নেদারল্যান্ডস। ২০১৯ সাল রাশিয়া বিশ্বকাপ খেলতে না পারা এ দুই দেশের জন্যও ছিল আনন্দময়। এ রকম আরো বেশকিছু ঘটনা নিয়ে ভালো-মন্দে গত হতে যাচ্ছে ২০১৯ সাল। তারই উল্লেখযোগ্য কিছু নিয়ে এ আয়োজন।
লিভারপুলের নতুন জন্ম: দীর্ঘ সময় ধরে শিরোপা খরায় ভুগছিল এক সময়ের ইউরোপিয়ান জায়ান্ট লিভারপুল। ক্লাবের সুদিন ফেরাতেই অ্যানফিল্ডে আসেন জার্মান কোচ ইয়ুর্গেন ক্লোপ। তার জাদুর কাঠির ছোঁয়াতেই যেন বদলে গেছে লিভারপুল। কেবল দলকে সাফল্য এনে দেয়ার ক্ষেত্রেই নয়, ফুটবলে নতুন রোমাঞ্চ যোগ করার ক্ষেত্রেও অবদান রাখছেন ক্লোপ। তার ‘গেগেনপ্রেসিং’ খ্যাত হেভি মেটাল ট্যাকটিসের কোনো কূলকিনারাই এখনো করতে পারেনি অন্য ক্লাবগুলো। ক্লোপের সেই স্বকীয় ফুটবলশৈলীতে লিভারপুল গত মৌসুমে ঘরে তুলেছে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ শিরোপা। এরপর উয়েফা সুপার কাপ ও ক্লাব বিশ্বকাপ শিরোপাও জিতেছে তারা। তবে মাত্র ১ পয়েন্টের জন্য পাওয়া হয়নি প্রিমিয়ার লিগ শিরোপা। চলতি মৌসুমে অতি নাটকীয় কিছু না ঘটলে লিভারপুলের লিগ শিরোপা পুনরুদ্ধারও সময়ের ব্যাপারই মাত্র। সবমিলিয়ে তাই ২০১৯ সাল সবচেয়ে বেশি আনন্দ উপলক্ষ গড়ে দিয়েছে ‘অল রেড’ খ্যাত দলটির জন্য। এছাড়া সবকিছু ঠিকঠাক এগোলে ২০২০ সালও আপন করে নেয়ার সুযোগ থাকছে লিভারপুলের জন্য।
মেসির ষষ্ঠ ব্যালন ডি’অর জয়: লিওনেল মেসি সময়ের তো বটেই, সর্বকালের অন্যতম সেরা এক তারকা। তার হাত ধরেই একের পর এক শিরোপা ঘরে তুলেছে বার্সেলোনা। দলীয় অর্জনের বাইরে মেসি ছিলেন অনন্য। একের পর এক ম্যাচে গোল করে ধরে রেখেছেন নিজের ধারাবাহিকতা। সেই সঙ্গে ধরে রেখেছেন রেকর্ড ভাঙা-গড়ার খেলাও। যে কারণে হাতে উঠেছে ফিফা বর্ষসেরা ও রেকর্ড ষষ্ঠ বারের মতো ব্যালন ডি’অরের পুরস্কারও। তবে উয়েফা বর্ষসেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার হাতছাড়া হয়েছে তার। সেটি জিতেছেন লিভারপুল তারকা ভার্জিল ভ্যান ডাইক।
পর্তুগালের নেশনস লিগ জয়: ব্যক্তিগতভাবে বছরটি ভালো যায়নি মেসির অন্যতম প্রতিদ্বন্দ্বী ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর। পুরস্কার দৌড়েও তাই বেশ খানিকটা পিছিয়ে ছিলেন ‘সিআর সেভেন’। তবে দলীয় অর্জনে আরো একটি পালক যুক্ত করেছেন তিনি। দেশকে জিতিয়েছেন উয়েফা নেশনস লিগের শিরোপা। ফাইনালে নেদারল্যান্ডসকে ১-০ গোলে হারায় পর্তুগিজরা। ইউরো জয়ের পর এটি পর্তুগিজদের জন্য দারুণ এক অর্জন। অবশ্য দলের এমন অর্জনের পরও রোনালদোকে পুরোপুরি সফল বলা যায় না। চলতি মৌসুমের শুরুতে তেমন সাফল্য পাননি তিনি। ইতালিয়ান সুপার কাপের ফাইনালে তার দল জুভেন্টাস হেরেছে লািজওর কাছে। সব মিলিয়ে দেশকে একটি শিরোপা এনে দিলেও রোনালদোর জন্য বছরটা কিছুটা হতাশারই।
ব্রাজিলের