সিরাজগঞ্জে বিনোদন কেন্দ্র হয়ে উঠছে যমুনার বাঁধ

বণিক বার্তা প্রতিনিধি সিরাজগঞ্জ

সিরাজগঞ্জে ভাঙন ঠেকানোর জন্য একাধিক বাঁধ দেয়া হয়েছে যমুনা নদীতে। কিন্তু বাঁধগুলোই এখন হয়ে উঠেছে জেলার অন্যতম বিনোদন কেন্দ্র। প্রতিদিন বিকাল হলেই কয়েকশ মানুষ ঘুরতে আসছে বাঁধ এলাকায়। সময় কাটাতে আসা দর্শনার্থীদের কথা চিন্তা করে বাঁধ এলাকায় বেঞ্চ-ছাতা নির্মাণসহ সৌন্দর্যবর্ধনের উদ্যোগ নিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)

পাউবো সূত্র জানায়, সিরাজগঞ্জ শহর গড়ে উঠেছে যমুনার পাড়েই। তবে একসময় যমুনাকে জেলার অভিশাপ হিসেবে ধরা হতো। নদীর পাড়ের নিয়মিত ভাঙনে বসতবাড়ি ফসলি জমিসহ বিভিন্ন মূল্যবান সম্পদ বিলীন হয়েছে। ভাঙন রোধ শহরকে রক্ষায় ১৯৯৮ সালে ৪৬০ কোটি টাকা ব্যয়ে প্রায় পৌনে তিন কিলোমিটার এলাকাজুড়ে সিরাজগঞ্জ শহর রক্ষা বাঁধ নির্মাণ করা হয়। বাঁধটির উত্তরের অংশে নির্মাণ করা হয় একটি বৃত্তাকার হার্ড পয়েন্ট।

এছাড়া স্থায়ীভাবে নদীভাঙন রোধে পানির গতিপথ পরিবর্তনের লক্ষ্যে ২০১৭ সালে যমুনা নদীর তীর সংরক্ষণ বাঁধ থেকে আড়াআড়িভাবে চারটি পয়েন্টে প্রায় ৩১০ কোটি টাকা ব্যয়ে চারটি ক্রসবার বাঁধ নির্মাণ করা হয়। ক্রসবার বাঁধগুলোর প্রতিটির দৈর্ঘ্য প্রায় পৌনে দুই কিলোমিটার। এসব ক্রসবার মূল বাঁধ থেকে শুরু হয়ে লম্বালম্বিভাবে যমুনার প্রায় মাঝখানে গিয়ে শেষ হয়েছে।

এসব বাঁধের কারণে যমুনার পাড় আর ভাঙছে না। বরং বাঁধগুলো হয়ে উঠেছে শহরের অন্যতম বিনোদন কেন্দ্র। বিকাল হলেই বাঁধ এলাকা ভরে যায় দর্শনার্থীর ভিড়ে।

সূত্র জানায়, শহরের কেন্দ্রস্থল বাজার স্টেশন এলাকা থেকে প্রায় দুই কিলোমিটার দূরে হার্ড পয়েন্টের অবস্থান। তবে এর আগেই দেখা মিলবে মালসাপাড়া মোল্লাবাড়ী এলাকার ক্রসবার-৩। ক্রসবার -এর অবস্থান শহরের উত্তর পাশে শৈলাবাড়ী খোকশাবাড়ী এলাকায়। আর শহরের দক্ষিণে প্রায় তিন কিলোমিটার দূরে পাইকপাড়া এলাকায় ক্রসবার--এর অবস্থান। এসব বাঁধের সবকটিতেই এখন নিয়মিত দর্শনার্থীরা ভিড় করে।

স্থানীয় বাসিন্দা দর্শনার্থীরা জানায়, সিরাজগঞ্জ শহরে উল্লেখযোগ্য তেমন বিনোদন কেন্দ্র গড়ে ওঠেনি। কারণে কেউ বেড়াতে চাইলে বাঁধ এলাকায় ঘুরতে যায়। নদীর তীর হওয়ায় এসব এলাকা এমনতিই মনোরম উপভোগ্য। যোগাযোগ ব্যবস্থা ভালো হওয়ায় যাতায়াতও বেশ সহজ।

বাঁধ এলাকায় ঘুরতে আসা কামারখন্দ উপজেলার জামতৈল গ্রামের বাসিন্দা সাবিনা ইয়াসমিন বলেন, সিরাজগঞ্জে ঘুরতে যাওয়ার জায়গা নেই বললেই চলে। তাই দুই সন্তানকে নিয়ে এখানে বেড়াতে এসেছি।

সিরাজগঞ্জ স্বার্থ রক্ষা সংগ্রাম কমিটির আহ্বায়ক ডা. জহুরুল হক রাজা বলেন, যমুনা একসময় সিরাজগঞ্জবাসীর সর্বস্ব কেড়ে নিয়েছে। সেই যমুনাই এখন আমাদের জন্য আশীর্বাদ। সিরাজগঞ্জ বেশ পুরনো শহর হলেও এখানে তেমন কোনো বিনোদন কেন্দ্র নেই। তাই লোকজন বাঁধ এলাকায় ঘুরতে যায়।

সিরাজগঞ্জ পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, যমুনার ভাঙন থেকে সিরাজগঞ্জকে রক্ষার জন্য শৈলবাড়ী এলাকায় হাজার ৩৬৮ মিটার, খোকশাবাড়ী এলাকায় হাজার ৬৭, মোল্লাবাড়ীতে হাজার ৭৮২ দশমিক পাইকপাড়ায় হাজার ২০০ মিটার ভিলেজ রোডসহ হাজার ৫৭

");

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন