দেড়শ বছরের ঐতিহ্য ভেঙে রেলওয়ে পর্ষদ পুনর্গঠন ভারতের

বণিক বার্তা ডেস্ক

দেড়শ বছরের ঐতিহ্য ভেঙে রেলওয়ে পর্ষদ পুনর্গঠনের অনুমোদন দিয়েছে ভারতের ইউনিয়ন কেবিনেট। পরিকল্পনা অনুসারে রেলওয়ে পর্ষদের বিদ্যমান আটটি গ্রুপ পরিষেবা ইন্ডিয়ান রেলওয়ে ম্যানেজমেন্ট সার্ভিস (আইআরএমএস) শীর্ষক কেন্দ্রীয় পরিষেবায় একীভূত করা হবে। নতুন পর্ষদের কাঠামোটি তুলনামূলক কৃশকায় রাখা হয়েছে। অবকাঠামো, কার্যক্রম ব্যবসা উন্নয়ন, রোলিং স্টক এবং আর্থিক দিকের দায়িত্বে থাকবে একজন চেয়ারম্যান চার সদস্যবিশিষ্ট নতুন রেলওয়ে পর্ষদ। খবর বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড।

এই পাঁচ সদস্যের বাইরে শিল্প, আর্থিক, অর্থনীতি ব্যবস্থাপনা ক্ষেত্রের বিভাগীয় বিশেষজ্ঞরাও পর্ষদের অন্তর্ভুক্ত থাকবে। করপোরেট চর্চা অনুসারে এখন থেকে পর্ষদ চেয়ারম্যানকে প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে ডাকা হবে। মূলত বিভাগীয় বিরোধ দূর করে দ্রুত সিদ্ধান্ত গ্রহণ সহজ করার জন্য সংস্কার পরিকল্পনা করেছে সরকার।

ভারতের রেলমন্ত্রী পিযূষ গয়াল গণমাধ্যমকে জানান, পরিষেবাগুলোর একীভবন রেলওয়েরবিভাগতন্ত্রে অবসান ঘটাবে। পুনর্গঠনের ফলে রেলওয়ের পক্ষে সুষ্ঠুভাবে কাজ করা, দ্রুত সিদ্ধান্ত গ্রহণ, সংস্থার জন্য সামঞ্জস্যপূর্ণ লক্ষ্য তৈরি এবং যৌক্তিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ সম্ভব হবে।

এর মধ্য দিয়ে আরো একটি ঔপনিবেশিক প্রথা থেকে সরে আসতে যাচ্ছে ভারত। ২০১৬ সালের সেপ্টেম্বরে রেলওয়ে বাজেটকে কেন্দ্রীয় বাজেটের অন্তর্ভুক্ত করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।

এদিকে বাজেট একত্রীকরণের তুলনায় পরিষেবাগুলোর একীভবনের সিদ্ধান্ত বিচক্ষণ পদক্ষেপ বলে মনে করছেন না বিশেষজ্ঞরা। রেলওয়ে পর্ষদের সাবেক সদস্য (ট্রাফিক) ভিএন মাথুর বলেন, বিভাগ দ্বারা নির্ধারিত এজেন্ডা নয়, বরং সরকারের কনসেপটির একটি সাংগঠনিক লক্ষ্য থাকতে হবে। তবে রেলওয়ের অনেকগুলো বিশেষ দিক রয়েছে। যেমন একজন মেকানিক্যাল বা সিভিল ইঞ্জিনিয়ার চাইলেই অর্থ বিভাগের প্রধান হতে পারবেন না, আবার উল্টোটাও সত্যি। ফলে সরকারের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের কিছু প্রায়োগিক জটিলতা দেখা দিতে পারে।

আগামী ১২ বছরে জাতীয় পরিবহন সেবাটি আধুনিকায়নে ৫০ ট্রিলিয়ন রুপির বিশাল অবকাঠামোগত উন্নয়ন পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে ভারত সরকার। যার মধ্যে খাতটির নিরাপত্তা, গতি পরিষেবার উন্নয়ন ঘটানো হবে। পরিকল্পনা বাস্তবায়নে বিভিন্ন বিভাগের দ্রুত সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রয়োজন পড়বে। কিন্তু বর্তমানে ভারতের রেলওয়ে পরিষেবা ট্রাফিক, পূর্ত, মেকানিক্যাল, বৈদ্যুতিক, সিগন্যাল টেলিযোগাযোগ, স্টোর, কর্মী অ্যাকাউন্ট এমন পৃথক বিভাগ দ্বারা পরিচালিত হচ্ছে। এই আলাদা বিভাগগুলো আবার সচিব পর্যায়ের কর্মকর্তাদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন