বিজিবি-বিএসএফ মহাপরিচালক পর্যায়ের সীমান্ত সম্মেলন শুরু আজ

কূটনৈতিক প্রতিবেদক

আজ থেকে ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লিতে শুরু হচ্ছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ ( বিজিবি) ভারতের বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্সের (বিএসএফ) মহাপরিচালক পর্যায়ের সম্মেলন। সম্মেলনে সীমানা লঙ্ঘন, অনুপ্রবেশ, সীমান্তে নিরস্ত্র মানুষ হত্যাসহ বাংলাদেশে অস্ত্র গোলাবারুদ চোরাচালান বন্ধ নিয়ে জোর দেবে বাংলাদেশ।

বিজিবি সূত্র জানায়, বিজিবি-বিএসএফ মহাপরিচালক পর্যায়ে সম্মেলন আজ ২৫ থেকে ৩০ ডিসেম্বর পর্যন্ত ভারতের নয়াদিল্লিতে অনুষ্ঠিত হবে। বাংলাদেশের পক্ষে ১১ সদস্যের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেবেন বিজিবি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মো. সাফিনুল ইসলাম। অপরদিকে বিএসএফ মহাপরিচালক ভিভেক জোহরীর নেতৃত্বে ১৯ সদস্যের ভারতীয় প্রতিনিধি দল সম্মেলনে অংশগ্রহণ করবে। প্রথম দিনে নয়াদিল্লির বিএসএফের চাওলা ক্যাম্পে সম্মেলনের আনুষ্ঠানিক বৈঠক শুরু হবে। ২৯ ডিসেম্বর সীমান্ত সম্মেলনের যৌথ আলোচনার দলিল বা জয়েন্ট রেকর্ড অব ডিসকাশন (জেআরডি) স্বাক্ষরের মধ্য দিয়ে সম্মেলনের আনুষ্ঠানিক সমাপ্তি হবে। সম্মেলন শেষে বাংলাদেশ প্রতিনিধি দল ৩০ ডিসেম্বর ২০১৯ তারিখ দেশে ফিরবে। ভারত সফরকালে বিজিবি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মো. সাফিনুল ইসলাম ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন।

বিজিবি জানায়, বৈঠকে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে সীমান্তে নিরস্ত্র বাংলাদেশী নাগরিকদের ওপর গুলি চালানো আহত বা হত্যা করা সম্পর্কে প্রতিবাদ জানানো হবে। সেই সঙ্গে ধরনের কর্মকাণ্ড বন্ধে করণীয় বিষয়ে ভারতের সঙ্গে আলোচনা করা হবে। ভারত থেকে বাংলাদেশে ইয়াবা, ফেনসিডিল, মদ, গাঁজা, হেরোইন এবং ভায়াগ্রা বা সেনেগ্রাসহ বিভিন্ন ধরনের অবৈধ মাদকদ্রব্যের চোরাচালান কীভাবে রোধ করা যায়, তা নিয়ে সোচ্চার থাকবে। এছাড়া ভারতের অভ্যন্তরে ফেনসিডিলসহ বিভিন্ন নেশাজাতীয় দ্রব্য মাদকদ্রব্যের কারখানা গুদাম এবং মাদকের চোরাচালান রোধ, মাদক পাচারকারীদের নিয়ে তথ্য বিনিময় করা হবে।

পাঁচ দিনব্যাপী সম্মেলনে সীমান্ত ব্যবস্থাপনা এবং সীমান্ত সম্পর্কিত সমস্যা দ্রুত সমাধানের জন্য সমন্বিত সীমান্ত ব্যবস্থাপনা পরিকল্পনা (সিবিএমপি) কার্যকরভাবে বাস্তবায়ন করতে চাপ দেবে বাংলাদেশ। সেই সঙ্গে ভারত থেকে বাংলাদেশে অস্ত্র গোলাবারুদ চোরাচালান রোধ এবং বিএসএফ, ভারতীয় মিয়ানমার নাগরিকদের সীমানা

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন