২০১৯ প্রায় শেষ হতে চলল। ফিরে তাকালে, ক্রিকেটের জন্য চলতি বছরটি বেশ নাটকীয় ছিল। নানা বৈচিত্র্যময় ঘটনায় রঙিন হয়ে উঠেছে ‘জেন্টলম্যান’স গেম। এ বছরই হয়ে গেছে ক্রিকেটের আরো একটি বিশ্বকাপ। যেখানে রোমাঞ্চকর লড়াইয়ে প্রথমবারের মতো শিরোপা ঘরে তুলেছে ক্রিকেটের জনক ইংল্যান্ড। এছাড়া এ বছর সাকিব আল হাসান-বেন স্টোকস-স্টিভ স্মিথদের ব্যক্তিগত নৈপুণ্য ক্রিকেটকে আলোকিত করেছে। তবে শেষ ভাগে এসে ফিক্সিং বিতর্কে কিছুটা হলেও যোগ করেছে হতাশা। সব মিলিয়ে ২০১৯ সাল ক্রিকেটে বিষাদের চেয়ে আনন্দই বেশি যোগ করেছে। তেমনই কিছু উল্লেখযোগ্য আনন্দ-বিষাদের ঘটনা নিয়ে ফিরে দেখার এ আয়োজন।
ওয়ার্নার-স্মিথের ফেরা: ২০১৮ সালে ভয়ংকর এক বিপদ নেমে এসেছিল স্টিভ স্মিথ ও ডেভিড ওয়ার্নারের জীবনে। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে টেস্ট চলাকালীন বল ট্যাম্পারিংয়ের অভিযোগ ওঠে অসিদের বিরুদ্ধে। সেই ঘটনায় মূল হোতা ক্যামেরুন ব্যানক্রফট ছাড়াও সামনে আসে স্মিথ ও ওয়ার্নারের নাম। পরে নিজেদের দোষ স্বীকারও করে নেন তারা। এর পরিপ্রেক্ষিতে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া (সিএ) কর্তৃক পড়তে হয় নিষেধাজ্ঞার মুখে। এক বছরের নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে চলতি বছর মার্চে ক্রিকেটে ফেরেন এ দুজন। দলের অন্যতম সেরা দুই তারকা ফেরায় পায়ের নিচে মাটি খুঁজে পায় অস্ট্রেলিয়া দল। পাশাপাশি ব্যাট হাতেও উজ্জ্বল ছিলেন এ দুজন।
ইংল্যান্ডের বিশ্বকাপ জয়: এ বছরটি ছিল বিশ্বকাপের বছর। ইংল্যান্ডে বসেছিল বিশ্বকাপের জমজমাট আয়োজন। যেখানে ১৯৯২ সালের আদলে তৈরি করা হয়েছিল ফরম্যাট। যে ফরম্যাট থেকে সেমিফাইনাল নিশ্চিত করেছিল স্বাগতিক ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড ও ভারত। অসিদের হারিয়ে ফাইনাল নিশ্চিত করে ইংল্যান্ড এবং শক্তিশালী ভারতকে মাটিতে নামিয়ে অন্য দল হিসেবে ফাইনালে যায় নিউজিল্যান্ড। তবে বিশ্বকাপের সব রোমাঞ্চ জমা হয়েছিল সেই ফাইনালের জন্য। যেখানে বেন স্টোকসের দারুণ ব্যাটিংয়ে ম্যাচ চলে যায় সুপার ওভারে। সেখানেও ফল না এলে পরে বাউন্ডারি ও ওভার বাউন্ডারির সংখ্যা দিয়ে নির্ধারণ করা হয় বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন। যেখানে নিউজিল্যান্ডকে হারিয়ে প্রথমবারের মতো শিরোপা হাতে তুলে নেয় ইংল্যান্ড।
স্মিথ-স্টোকসের অ্যাশেজ বীরত্ব: দীর্ঘ সময় পর অ্যাশেজের ট্রফি ধরে রাখতে পেরেছে অস্ট্রেলিয়া। দুরন্ত লড়াইয়ের পর সিরিজ শেষ হয় ২-২ সমতায়। তবে সব ছাপিয়ে এ বছর অ্যাশেজের দিকে তাকালে সেটি কেবলই স্মিথ ও স্টোকসের বীরত্বগাথার কথাই তুলে ধরছে। চার টেস্ট খেলে ১১০.৫৭ গড়ে স্মিথ রান করেছেন ৭৭৪। অন্যদিকে রান সংগ্রাহকের তালিকায় স্টোকস আছেন দুই নম্বরে (৪৪১)। তবে স্টোকস এ সিরিজে স্মরণীয় হয়ে থাকবেন অন্য কারণে।