চীন-মার্কিন বাণিজ্যযুদ্ধে তাইওয়ানে অফিস ভাড়ার বাজার রমরমা

বণিক বার্তা ডেস্ক

এক বছরের বেশি সময় ধরে চলমান যুক্তরাষ্ট্র-চীন বাণিজ্যযুদ্ধ এর ফলে সৃষ্ট অনিশ্চয়তার মধ্যে তাইওয়ানে উৎপাদন ম্যানুফ্যাকচারিং কারখানা ফিরিয়ে আনতে শুরু করেছে স্থানীয় কোম্পানিগুলো। ফলে স্বশাসিত দ্বীপরাষ্ট্রটির এরই মধ্যে জনাকীর্ণ হয়ে পড়া অফিস ভাড়ার বাজার আরো ফুলে-ফেঁপে উঠছে। একই সঙ্গে জায়গার সরবরাহ কমার আশঙ্কা করা হচ্ছে। খবর সিএনবিসি।

আবাসন-বিষয়ক পরামর্শদাতা প্রতিষ্ঠান জোনস ল্যাং ল্যাসাল তাইওয়ানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক টনি চাও বলেন, তাইওয়ানে অফিস ভাড়া বৃদ্ধি পাওয়ার প্রধান কারণ, এখানে নতুন ভবনের সরবরাহ অত্যন্ত সীমিত।

সাম্প্রতিক বছরগুলোয় তাইওয়ানেগ্রেড মানের অফিসের ভাড়া অথবা প্রিমিয়াম স্থানে অফিসের জন্য ব্যয় ব্যাপক বৃদ্ধি পেয়েছে। চাও সিএনবিসিকে জানান, সম্প্রতি অফিসের জন্য জায়গা খালির হার কমে মাত্র শতাংশের কাছাকাছি এসে দাঁড়িয়েছে, অথচ তিন বছর আগেও হার ছিল ১০ শতাংশ। আগামী বছর জায়গা খালির হার আরো কমে গড়ে শতাংশে দাঁড়াতে পারে বলে পূর্বাভাস করেছেন তিনি।

চাওয়ের হিসাব অনুসারে, বর্তমানে ২০ বছরেরও বেশি পুরনো বহু ভাড়াটে নতুন জায়গা খুঁজতে থাকায়, এরই মধ্যেগ্রেড অফিস স্পেস পাওয়ার হার সংকুচিত হয়ে পড়েছে। চাও জানান, কোম্পানিগুলোর মধ্যে নিজেদের করপোরেট স্পেস কেন্দ্রীয় এলাকাগুলোর আরো নতুন, ঝকঝকে ভবনে নিয়ে যাওয়ার প্রবণতা তৈরি হয়েছে। এছাড়া একই লোকালয়ে একই ধরনের কাজের জন্য অফিস নেয়ার হার বৃদ্ধি পেয়েছে।

দীর্ঘ বছর ধরে তাইওয়ানি কোম্পানিগুলো মূল ভূখণ্ড চীনে ব্যবসা ম্যানুফ্যাকচারিং কারখানা গড়ে তুলেছে। কিন্তু চীনে ব্যয় বাড়তে শুরু করায় সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বহু কোম্পানি দেশে কার্যক্রম ফিরিয়ে এনেছে। তাইওয়ান সরকারের প্রণোদনাও কোম্পানিগুলোকে দেশে ফিরতে আগ্রহী করে তুলেছে। সবকিছুই চীন-যুক্তরাষ্ট্র বাণিজ্যযুদ্ধের আগে থেকে শুরু।

কিন্তু বিশ্বের শীর্ষ দুই অর্থনীতির বাণিজ্যযুদ্ধ শুরুর পর কোম্পানিগুলোর দেশে কার্যক্রম ফিরিয়ে আনার হার বেড়েছে। এর কারণ চীন থেকে পণ্য রফতানির ফলে মার্কিন শুল্ক কোম্পানিগুলোর মুনাফা কমিয়ে দিচ্ছে।

চাও জানান, চীন থেকে তাইওয়ানি কোম্পানিগুলোর আগমন দেশের আবাসন খাতকে শক্তিশালী নয়, বরং সরবরাহ আরো সংকুচিত করেছে।

২০১৮ সালে রাজধানী তাইপেতে গ্রেড- মানের প্রতি ৩৫ দশমিক বর্গফুট অফিস স্পেস ভাড়া বছরওয়ারি প্রায় শতাংশ বেড়ে ৯০ ডলার ৪০ সেন্টে দাঁড়ায়। চলতি বছরের তৃতীয় প্রান্তিক নাগাদ ভাড়ার মূল্য বেড়েছে আরো দশমিক শতাংশ।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন