চাঁদপুর ও হবিগঞ্জে দুটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুমোদন

নিজস্ব প্রতিবেদক

দেশে আরো দুটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন করবে সরকার। এর মধ্যে চাঁদপুরে একটি বিজ্ঞান প্রযুক্তি এবং হবিগঞ্জে একটি কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন করা হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে গতকাল তার কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে -সংক্রান্ত দুটি আইনের খসড়ায় চূড়ান্ত অনুমোদন দেয়া হয়। বৈঠক শেষে সচিবালয়ে আয়োজিত এক ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, চাঁদপুর বিজ্ঞান প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় আইন এবং হবিগঞ্জ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় আইনের খসড়ার চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। দুটি বিশ্ববিদ্যালয় আইনে ৫৪টি করে ধারা রয়েছে। চ্যান্সেলর, ভাইস চ্যান্সেলর, উপ-উপাচার্য, কোষাধ্যক্ষ বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেটের দায়িত্ব-কর্তব্য আইনে বলে দেয়া হয়েছে। চাঁদপুর বিজ্ঞান প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় আইনের আলোকে ১৪টি অনুষদ হবিগঞ্জ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় আইনের আলোকে ২৩টি অনুষদ নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম সংবিধি খসড়া আইনও এর সঙ্গে রয়েছে।

উল্লেখ্য, দেশে এখন ৪৬টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে। নতুন দুটি নিয়ে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের সংখ্যা দাঁড়াবে ৪৮। চাঁদপুর বিজ্ঞান প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় আইনের খসড়া গত ১৯ আগস্ট নীতিগত অনুমোদন দিয়েছিল মন্ত্রিসভা। আর হবিগঞ্জ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় আইনটি মন্ত্রিসভায় নীতিগত অনুমোদন পায় গত এপ্রিল।

গতকালের বৈঠকে বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড আইন, ২০১৯-এর খসড়ারও চূড়ান্ত অনুমোদন দেয়া হয়েছে। মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানান, ১৯৭৮ সালের অধ্যাদেশ অনুসারে মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড চলছিল। উচ্চ আদালতের নির্দেশনা অনুসারে সামরিক শাসন আমলে প্রণীত যেসব আইন বা অধ্যাদেশের প্রয়োজন রয়েছে, সেগুলোকে পরিমার্জন করে বাংলায় রূপান্তরের বাধ্যবাধকতা রয়েছে। ফলে নতুন করে আইনটি বাংলায় করা হচ্ছে।

আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, প্রস্তাবিত আইনে মোট ৩০টি ধারা সন্নিবেশিত রয়েছে। বিদ্যমান অধ্যাদেশে উল্লিখিত বোর্ড শব্দের পরিবর্তে পরিচালনা পর্ষদ প্রতিস্থাপন করা হয়েছে। বোর্ডের সদস্য সংখ্যা ১৩ জনের পরিবর্তে ১৫ জন করা হয়েছে। বিদ্যমান অর্ডিন্যান্সে বোর্ডের কোনো সদস্য সচিব ছিল না। বর্তমানে খসড়া আইনে রেজিস্ট্রারকে সদস্য সচিব হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।

তিনি বলেন, পাঠক্রম, পাঠ্যসূচি পাঠ্যপুস্তক প্রণয়ন, উন্নয়ন, নবায়ন, নিরীক্ষণ এবং সংস্কার কার্যক্রমে জাতীয় শিক্ষাক্রম পাঠ্যপুস্তক বোর্ডকে বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড প্রয়োজনীয় সহায়তা করবে। প্রস্তাবিত খসড়া আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে বিশেষ জ্ঞান দক্ষতা প্রয়োজন হয় এরূপ কোনো কাজ

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন