মেহেদী হাসানের অলরাউন্ড পারফরম্যান্সে জয় নিয়ে মাঠ ছেড়েছে ঢাকা প্লাটুন। চলতি বিপিএলে গতকাল চট্টগ্রামে কুমিল্লা ওয়ারিয়র্সকে ৫ উইকেটে হারিয়েছে মাশরাফি মর্তুজার দল। এটি চট্টগ্রাম পর্বে ঢাকার প্রথম জয়।
বল হাতে ৪ ওভারে মাত্র ৯ রানে ২ উইকেট নেন মেহেদী। শিকারে পরিণত করেন কুমিল্লার দুই হার্ডহিটার সৌম্য সরকার (১৬) ও সাব্বির রহমানকে (০)। বলের পর ব্যাট হাতেও দুঃস্বপ্নে পরিণত হন ওয়ারিয়র্স বোলারদের। মাত্র ২৭ বলে করেন ৫৯ রান। বিধ্বংসী এ ইনিংসে ছিল সাত সাতটি ছক্কার মার। মেহেদীর এই অলরাউন্ড পারফরম্যান্সের আলোয় ম্লান হয়ে যায় লংকান ওপেনার ভানুকা রাজাপাকসের ৯৬ রানের ইনিংসটিও।
মেহেদীর এমন অলরাউন্ড পারফরম্যান্সের পরও পথ হারানোর উপক্রম হয়েছিল ঢাকার। শেষ পর্যন্ত শহীদ আফ্রিদির মারমুখী ব্যাটিংয়ে ঘাম দিয়ে জ্বর ছাড়ে তাদের। ম্যাচ জিততে শেষ ওভারে ঢাকার দরকার হয় ৭ রান। সৌম্যর করা ওই ওভারের প্রথম বলে সিঙ্গেল নিয়ে আফ্রিদিকে স্ট্রাইক দেন মুমিনুল হক। দ্বিতীয় বলে কোনো রান নিতে পারেননি আফ্রিদি। ঢাকার জয়ের জন্য সমীকরণ দাঁড়ায় ৪ বলে ৬ রান। ওভারের তৃতীয় বলটিকে শূন্যে ভাসিয়ে সীমানাছাড়া করে দলকে জিতিয়েই মাঠ ছাড়েন বর্ষীয়ান এ পাকিস্তানি অলরাউন্ডার। পরের বলে নেন সিঙ্গেল। ১ বল হাতে রেখেই জেতে ঢাকা।
৬০ রান টপকানোর চ্যালেঞ্জকে সহজ করে দেন মেহেদী। যদিও ম্যাচের প্রথম ওভারেই বিদায় নেন ঢাকা ওপেনার এনামুল হক বিজয় (০)। এই স্বস্তি অবশ্য বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি কুমিল্লা শিবিরে। তামিম ইকবালকে সঙ্গী করে ঝড় তোলেন মেহেদী। একপর্যায়ে ঢাকার স্কোরবোর্ডে ছিল ৮.৬ ওভারে ৮৪ রান। মেহেদী-তাণ্ডব থামিয়ে ম্যাচে ফেরার ইঙ্গিত দেন কুমিল্লা পেসার আল-আমিন হোসেন। এর পরই আসিফ আলী (০) ও জাকের আলীকে (০) আউট করে ম্যাাচে উত্তেজনা ফিরিয়ে আনে কুমিল্লা। মাত্র ৪ রানের মধ্যে টপ অর্ডারের তিনজন ব্যাটসম্যানকে হারায় ঢাকা। স্কোরবোর্ডে তখন ৮৮/৪।